- হোম
- >
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
- >
- ফেসবুকের সাইকোলজিক্যাল রিসার্চ
ফেসবুকের সাইকোলজিক্যাল রিসার্চ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাববিস্তারে কতটা শক্তিশালী এমন একটি পরিক্ষায় দেখা যায়, প্রায় নয়শ’৩৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও লগ ইন করে থাকেন তাদের কাছের মানুষের সর্বশেষ খবর জানার জন্যে। মানুষ কী দেখবে, কী ভাববে সব নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো। ফেসবুক এখন পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী মিডিয়া, সেই সাথে সবচাইতে প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রকও।
লন্ডনের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি থেকে পরিচালিত এক রিসার্চে দেখা গেছে, নিজের রিলেশনশিপ নিয়ে ফেসবুকে যারা নিয়মিত স্ট্যাটাস আপডেট করেন তারা তাদের রিলেশনশিপ নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। অন্যদিকে নিয়মিত স্ট্যাটাস আপডেট করার পেছনে কাজ করে ইগো।
রিসার্চে দেখা গেছে, যারা ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন তারা অন্যের লাইক ও এটেনশন পাওয়ার জন্যে রোজ রোজ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেট করে থাকেন। অন্যদিকে দাম্ভিক মানুষ অন্যের লাইক, কমেন্ট ও এপ্রিসিয়েশনের জন্য নিজের অর্জন ও প্রাপ্তির ব্যাপারে নিয়মিত পোস্ট করেন। আর এগুলো তাকে নিজের সম্পর্কে উঁচু ধারণা ধরে রাখে। আর যারা এসব স্ট্যাটাসে ‘লাইক’ দেয় তারা কি এই ব্যাপারগুলো পছন্দ করে বলে লাইক দেয় নাকি লাইক দেয় তাদেরকে সাপোর্ট করতে? ফেসবুকের সাইকোলজি এই ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে পরিচালিত বিতর্কিত এক পরীক্ষায় দেখা গেছে নিউজ ফিডের আপডেট ব্যবহারকারীদের মুড ও পোস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পর অনেকেই আবেগের অপব্যবহারের জন্যে ফেসবুকের সমালোচনা করে। কারণ তাদের মতে এভাবে কারো সাইকোলজি যাচাই করা সম্ভব না। ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই খারাপ মুডে থাকতে পারে। আর তাহলে এই পরীক্ষার কোনো মূল্য থাকে না।
যেকোন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেটের পেছনে মূল উদ্দেশ্য থাকে নির্দিষ্ট রিয়েকশন পাওয়া। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেট পড়ে অন্যকে বেশি সুখি মনে হতে পারে। প্রত্যেকের পোস্টের পেছনেই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। পুরো ব্যাপারটা যত না আক্ষরিক, তার চেয়ে আরো বেশি গভীর। একটা খুব সাধারণ স্ট্যাটাস আপডেট, আপাত দৃষ্টিতে তার হয়ত কোনো মূল্য নেই। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সত্যিকার ধারণা লাভের উপায়। কারণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের মিথ্যা ব্যক্তিত্ব উপস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকের তথ্য বিবরণী থেকে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব যত গভীরভাবে বোঝা সম্ভব, অতটা তার পরিবার, বন্ধু কিংবা পার্টনারের কাছ থেকেও জানা সম্ভব না। আর এই জ্ঞানটা কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই মানুষকে প্রভাবিত করা যায়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।