টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত পৌরসভার নির্বাচিত বর্তমান দুই কাউন্সিলরকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। গত সোমবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ঘাটাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ কবির আহম্মেদ। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদের দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা দুজনই স্থানীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার অনুসারী।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঘাটাইল কলেজ মোড়ে গতকাল সোমবার সারাদিনব্যাপি বণাঢ়্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান (মারুফ)। অপরদিকে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার এর নেতৃত্বে এমপির বাসায় পৃথকভাবে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। পরে অনুষ্ঠানের ছবি দিয়ে ফেববুকে স্ট্যাটাস দেয়। এতে লেবুর সমর্থক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়। এর  জের ধরে ঘাটাইল জনতা সিনেমা হলের সামনে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ কবীর আহমেদকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। অপর দিকে কাজী রোডে হামলার শিকার হন ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ। হামলায় তার হাত ভেঙ্গে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু পাল্টা অভিযোগ করে বলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার সময় পৌরসভার আমতলাতে সাংসদ রানার লোকজন তাদের বাধা দেয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন না করে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের কমিটি পাশ হয়। ওদের প্রতিষ্ঠাতে বার্ষিকীতে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীই ছিল না। ওদের ছাত্রলীগের কোন কমিটিই নেই। আর আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ছবি দিয়েছি।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, দুই কাউন্সিলর আহত হওয়ার ঘটনা আমি শুনেছি। তবে এ নিয়ে কোন পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।