খালেদার অনুপস্থিতিতে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ। তিনি মামলাটির ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় আদালতের কার্যক্রমের শুরুতে মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া অনুপস্থিতির আবেদন জানান। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদসহ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।
এ মামলায় মোট চারজন আসামির মধ্যে খালেদা ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। আগামী ১৪ জানুয়ারি তাকে আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার আসামি হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক আছেন। জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আদালতে উপস্থিত আছেন।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় মোট ছয়জন আসামির মধ্যে খালেদা ছাড়া বাকিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ডঃ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ডঃ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দিয়েছেন। আর কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির আছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিদেশি একটি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক।
দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।