- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- কাসেম আলীর আপিল শুনানি শুরু ২ ফেব্রুয়ারি
কাসেম আলীর আপিল শুনানি শুরু ২ ফেব্রুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি শুরু হবে আগামী ০২ ফেব্রুয়ারি। আজ বুধবার (৬জানুয়ারি) আসামিপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে আপিল শুনানি চলবে। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মীর কাসেমের আপিলের সারসংক্ষেপ ইতোমধ্যেই দাখিল করেছেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও মীর কাসেম আলীর পক্ষে প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আপিল শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্র্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে ৭ বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অপরদিকে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গেই হয় তার নেতৃত্ব অথবা সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ নং অভিযোগ : মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমক্তুল ইসলাম চৌধুরীকে চাকতাই ঘাট থেকে অপহরণ করা হয়।
এরপর তাকে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দর কিল্লাস্থ ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল এবং একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
২ নং অভিযোগ: আসামীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর চাকতাই থেকে লুৎফর রহমান ফারুককে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়।
৩ নং অভিযোগ : ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর আসামীর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তার কদমতলা বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
৪ নং অভিযোগ : ডাবলমুরিং থানায় সাইফুদ্দিন খানকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে আল বদর বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন।
৫ নং অভিযোগ : ২৫ নভেম্বর আনোয়ারা থানার আব্দুল জব্বারকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে মীর কাসেম আলীর সামনে হাজির করা হয়। এরপর তাকে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়া হয়।
৬ নং অভিযোগ : চট্টগ্রাম শহরের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদ নামে একজনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা হয়।
৭ নং অভিযোগ : মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে সাত/আট জন যুবক ডাবলমুরিং থানা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, ইলিয়াসকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
৮ নং অভিযোগ : ২৯ নভেম্বর রাতে নুরুল কুদ্দুস, মো : নাসির, নুরুল হোসেনসহ চারজনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন।
৯ নং অভিযোগ : ২৯ নভেম্বর সৈয়দ মো : এমরান হোসেন, কামাল উদ্দিন, জামালউদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, গোলাম রহমান এ ছয় জনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১০ নং অভিযোগ : আসামীর নির্দেশে মো : যাকারিয়া, স্কানদার আলম, চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১১ নং অভিযোগ : শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ছয় জনকে অপহণের পর নির্যাতন করা হয়। এতে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হয় এবং পরে লাশ গুম করা হয়। ঈদের দিনের পর জসিমকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
১২ নং অভিযোগ : জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, টন্টু সেন ও রঞ্জিত দাসকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। টন্টু রঞ্জিত দাসকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করা হয়।
১৩ নং অভিযোগ : সুনীল কান্তিকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১৪ নং অভিযোগ : নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ ও নির্যাতন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।