কুড়িগ্রামে গরু চোরের কাণ্ড
কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া ইউনিয়নের দূর্গম চর কাপনা গ্রামে গরু চোরের বিচার করতে গিয়ে চোরদের হাতে মার খেয়ে ১১জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কোরবান আলী(৫৫) ওসমান আলী (৫০) ইয়ামুল(৪০)ও ওলি মিয়ার (৩৫) গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর ৭জনকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরকাপনা এলাকার ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম জানান, গত ২৯-১২-১৫ তারিখে চর কাপনা গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র সাইফুর রহমানের দু‘টি বড় জাতের দামড়া গরু রাতে চুরি যায়। খোজাখুজির পর জানা যায়, যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগবতির চর গ্রামের জালাল চেয়ারম্যানের পুত্র নুর মোহাম্মদ,একই গ্রামের হায়াৎ আলীর পুত্র বারেক ও কৃষ্ণপুর গ্রামের কদম আলীর প্রত্র মোকছেদুল গরু দুটি চুরি করে যাত্রাপুর বাজারে বিক্রী করে। পরে তাদের নৌকাসহ আটক করা হয়।
খবর পেয়ে ওই তিনজনের আত্মীয়স্বজন ও ভগবতির চর এলাকার কিছু লোকজন এসে ৩ জানুয়ারী সকাল ১০টায় বিচার করা হবে মর্মে ২৭৫টাকার ষ্ট্যাম্পে মুচলিকা দিয়ে ধৃতদের উদ্ধার করে নিয়ে যান। আজ রবিবার বিচারের নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টায় গরুর মালিক সাইফুর কে নলকুপ মেরামতের কথা বলে নিয়ে গিয়ে চোরেরা আটকে দেয়। খবর পেয়ে চরকাপনা গ্রামের ৫০-৬০জন লোক সাইফুরকে উদ্ধার করতে ভগবতির চর গ্রামে গেলে চোরেরা সবাইকে বেধড়ক মারপিট করে । এতে ১১জন আহত হয়। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাগেশ্বরী থানার ওসি আক্কাস জানান, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অভিযোগ পেয়েছি । মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।