রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে এসে ছাত্রদলের ধাওয়া খেল ‘আসল বিএনপি’র কর্মীরা।শনিবার বেলা ৪টার দিকে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই কর’ স্লোগানে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে আসল বিএনপির প্রায় ৫০-৬০ জন কর্মী। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফকিরাপুল মোড় এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন কামরুল হাসানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা। তবে কামরুল হাসান কার্যালয়ের সামনে না এসে পল্টন থানার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

‘আসল বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে এলে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান কামরুল হাসানের অনুসারীরা। এ সময় ‘আসল বিএনপির’ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার/পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

‘আসল বিএনপি’র প্রধান কামরুল হাসান নাসিম জানান, ‘গণতন্ত্রের বিপ্লব’ ঘটাতে তার সমর্থকরা কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার প্রতীকী আদালত করেছিলাম। সেখানে দুটি রায় পেয়েছিলাম। এর একটি ছিল- গঠনতন্ত্র স্থগিত করা হলো। অন্যটির ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত বলেছে- যেকোনো সময়ে আমরা নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসব।’

তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য দলীয় বিপ্লব করতে চেয়েছি। সেই বিপ্লবের অংশ হিসেবে অফিসে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকার জন্য আজ সেখানে গিয়েছিল নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তাদের মারধর করা হলো।’

কামরুল হাসান বলেন, ‘খালেদা জিয়া, তিনি মা। ভুল করতেই পারেন। আমি তো আর সেই ভুল করতে পারি না। তিনি অছাত্রদের দিয়ে ছাত্রদল করেছেন। মূলত এখন তিনি ৩০ লক্ষ সুবিধাভোগীর নেত্রী। গবেষণা করে দেখেছি, আসল বিএনপি কোটি লোকের প্রতিনিধিত্ব করছে। আজ অথবা কাল উদ্যোক্তা হিসেবে এই দলকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারব।’