৫ জানুয়ারি পালন করবে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করতে দেশের সব জেলা সদরগুলোতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার(২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। সমাবেশের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় সেখানে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই বছর পর রাজধানীতে এটিই হবে বিএনপির প্রথম সমাবেশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমাবেশের জন্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করছি গণতন্ত্রকে তার নিয়মতান্ত্রিক পথে চলতে দিতে সরকার সহায়তা করবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনগণ ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। ওই দিন দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ভোটে জনগণ তাদের রায় দিতে পারেনি। ১৫৪জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচন দেশে বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, এরইমধ্যে সমাবেশ করা এবং মাইক ব্যবহারের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।
জন্মদিন উপলক্ষে ওই দিন সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সামধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং গণমাধ্যমে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভাও করা হবে।
যৌথ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সাংগঠনিক সহ-সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রচার সহ-সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, দপ্তর সহ-সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেন, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, ওলামা দলের সভাপতি আব্দুল মালেক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, জেটেবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমীন আকন্দ ছিলেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।