সিরাজগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী এক নারীকে(৩০) ধর্ষণ করে আসছিলেন আবু সাঈদ(৫০)। পরে বিয়য়টি জানাজানি হলে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার(১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃদেবপদ রায় তার বলেন, মেয়েটি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ছিলেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, পা না থাকায় হাঁটুতে ভর করে চলতেন মেয়েটি। মাঝে মধ্যেই হাতের ওপর ভর করে শাক তুলতে যেতেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী আবু সাঈদ(৫০) তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করতেন। পরিবারের কেউ সেভাবে তার খোঁজ-খবর না করায় বিষয়টি তাদের কাছে অজানা থেকে যায়।

পরে সপ্তাহখানেক পূর্বে তার মাতৃত্বের লক্ষণ পুরোপুরি প্রকাশ পেলে পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তিনি পরিবারকে সবকিছু জানান। বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) দুপুরর দিকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) রাতে গ্রাম্য শালিস বসানো হয়। শালিসে আবু সাঈদ বিষয়টি স্বীকার করেন। এ নিয়ে ওই বৈঠকে প্রতিবন্ধী মেয়েটির সঙ্গে সাঈদের বিয়ে এবং ১২ শতক জমি ও নগদ এক লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল সর্দার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।