পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলীয় পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনীর সাথে বন্দুকধারীদের গুলি বিনিময় থেমে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভারতীয় বাহিনী এখন সেখানে চিরুনি অভিযান চলাচ্ছে। শনিবার(২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনা পোশাক পরিহিত একদল বন্দুকধারী পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।

জানা যায়, অন্তত ছয়জন বন্দুকধারী এ হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুই সদস্য ও চার হামলাকারী। বাকি দুই বন্দুকধারীর অবস্থা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

তবে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে চলা এ হামলা ও গুলি বিনিময় এখন থেমে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের এডিজিপি(ল অ্যান্ড অর্ডার) এইচ এস ডিলন।

সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার(১ জানুয়ারি) পাঠানকোটে গুরুদাসপুর পুলিশ সুপারের গাড়ি ছিনতাই করে সেনা পোশাকধারী একদল দুর্বৃত্ত। ওই গাড়িতে চড়েই বিমানঘাঁটিতে তারা হামলা চালিয়েছে।

পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জেইশ-ই-মোহম্মদের(জেইএম) সদস্যরা এ হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ পুলিশ সুপারের গাড়ি ছিনতাইয়ের সময় দুর্বৃত্তরা তার মোবাইল ফোনও ছিনতাই করে। আর সেই ফোন থেকে পরবর্তীতে পাকিস্তানে যোগাযোগ করা হয় বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে।

এদিকে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানকোট ও এর আশেপাশের এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে এবং সেই সাথে পাঞ্জাব ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাঠানকোট ও কাশ্মীরের সংযোগকারী মহাসড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।