গাইবান্ধায় জামানত হারালেন ১২ মেয়র প্রার্থী
পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ূন
প্রিন্টঅঅ-অ+
জেলার তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনই জামানত হারিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কোনো প্রার্থী মোট প্রাপ্ত ভোটের শতকরা আট ভাগের এক ভাগের নীচে ভোট পেলে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেয়া জামানতের টাকা হারাবেন।
যারা জামানত হারালেন, গাইবান্ধা পৌরসভায় শহীদুজ্জামান শহীদ (বিএনপি), মির্জা হাসান (স্বতন্ত্র), ফেরদৌস আলম (স্বতন্ত্র) ও সরদার রোকনুজ্জামান পলাশ (স্বতন্ত্র)। এই পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন, কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৬ হাজার ৩৮১। প্রাপ্ত ভোট ৩৪ হাজার ৭৭৫।
গোবিন্দগঞ্জে জামানত হারিয়েছেন, আখতার হোসেন (জাতীয় পার্টি) ও মতিন মোল্লা (ওয়ার্কার্স পার্টি)। এ পৌরসভায় মেয়র পদে মোট চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬’শ ৪৪। প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ৮২।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মশিউর রহমান সরকার (জাতীয় পার্টি), মশিয়ার রহমান (জাতীয় পার্টি জেপি), শাহাদাৎ হোসেন (জাসদ), দেবাশীষ কুমার সাহা (আ. লীগের বিদ্রোহী) শাহীন আহম্মেদ (আ. লীগের বিদ্রোহী) ও মাসুদুল ইসলাম (আ. লীগের বিদ্রোহী) জামানত হারান। এই পৌরসভায় মেয়র পদে আটজন, কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৫’শ ৪। প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৩’শ ২৬।
গাইবান্ধা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন ১০ হাজার ৬’শ ৪৪, সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ হাজার ৮’শ ৪১ এবং গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার ১৫ হাজার ৫’শ ১০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।