- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- আজ ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার রায়
আজ ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার রায় আজ। গত সোমবার(২১ ডিসেম্বর) আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ রায় ঘোষণার জন্য আজ বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) এই দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি জানিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এই মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর রবিবার থেকে শুরু হয় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক। গত ৫ নভেম্বর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ মামলা ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
রাজধানীর শাহবাগে ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করে রাজীবকে। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশের তদন্তে এই হত্যাকাণ্ড ধর্মীয় উগ্রবাদীরা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
গত বছরের ২৮ জানুয়ারি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোঃজসীমউদ্দিন রাহমানীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জসীমউদ্দিন রাহমানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে দুটি মসজিদে জুমার খুতবায় ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে এমন ব্লগারদের হত্যার ফতোয়া দিতেন। জসীমউদ্দিনের লেখা বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবা শুনে বাকি আসামিরা নাস্তিক ব্লগারদের খুন করতে উদ্বুদ্ধ হন। এর পরই ব্লগার রাজীব খুন হন। তাই রাহমানকে ওই হত্যাকাণ্ডে উৎসাহদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেনঃ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোঃ জসীমউদ্দিন রাহমানী, ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মোঃ ফয়সাল বিন নাঈম দীপ(২২), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মোঃ এহসান রেজা রুম্মান(২৩), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক(২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়ার নাঈম ইরাদ(১৯), চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ(২২), ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতের গলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ(২০) ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা(৩০)।
এদের মধ্যে রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।
আভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে জসীমউদ্দিন রাহমানি ছাড়া সবাই নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তবে পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থপতি রাজীব ‘থাবা বাবা’ নামে ব্লগে লিখতেন। এতে তিনি ধর্মান্ধতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারীদের বিপক্ষে লিখতেন।
মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানিকে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই বছরের ২০ আগস্ট সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ও বাকিদের ১০ মার্চ গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৩ সালের ১০ মার্চ রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৫ ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।