নোয়াখালীতে স্থগিত ১০, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০
এস টি হোসাইন
প্রিন্টঅঅ-অ+
নোয়াখালীতে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, পাল্টা-পাল্টি হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিষ্ফোরণ ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ৪টি উপজেলা চৌমুহনী, হাতিয়া, বসুরহাট ও চাটখিল পৌরসভায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় ১জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীসহ আহত হয়েছে অন্তত ৫০জন। স্থগিত করেছে ১০টি ভোট কেন্দ্র।
৩০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টি কেন্দ্রে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
চৌমুহনী পৌরসভা
সকাল থেকে সুষ্ঠু ভোট গ্রহন হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটরদের উপস্থিতি বাড়লেও কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, ব্যালট ফ্যাপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ককটেল বিষ্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আসমা আক্তারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আতঙ্কে কেন্দ্র ত্যাগ করে ভোটাররা।
এসময় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নাজিরপুর নুরানী মাদ্রাসা, পৌনে ১১টার দিকে উত্তর হাজিপুর সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, সাড়ে ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ১২টার দিকে গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুপুর ১টার দিকে মধ্যম করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর ভবন, দুপুর ২টার দিকে মধ্যম করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব ভবন, চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ কেন্দ্রের নতুন ভবন, চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ কেন্দ্রের পুরাতন ভবন ও দক্ষিণ নজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
হাতিয়া পৌরসভা
হাতিয়ায় সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে ২নং ওয়ার্ড় কাউন্সিলরের বাড়ীতে বোমা হামলা ও গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় কাউন্সিলরের ২ ভাইসহ আহত হয় ১০জন।
দুপুর ২টার দিকে চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় ৯জন। তারা হলেন, দুলাল (২৫), ফয়সাল (১৫), আজাদ (১৫), রাহিম উল্ল্যা (৪০), মিজান (৩৫), আলা উদ্দিন (৫০), খোকন (৩০), দিদার (৩৮) ও জসিম (৩৯)। এছাড়া ৪, ৫, ৬, ৭নং কেন্দ্রের ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ভোট দেওয়ার সময় ৫জনকে আটক করেছে র্যাব।
বসুরহাট পৌরসভা
বসুরহাটেও সকাল থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী নূর হোসেন খোকন ও আবুল খায়েরের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় তারা কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর, ককটেলের বিষ্ফোরণ ও মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জার নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করে।
দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর (বিএনপি), আলমগীর হোসেন (আ.লীগ) ও আব্দুল মন্নান (জামায়াত) ভোট বর্জণ করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন জানিয়েছেন,‘স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্র গুলো দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসাররা বন্ধ করেছে’।
এদিকে চাটখিল পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শুধু কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।