কেন্দ্র দখল, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের এজেন্ট ও কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টদের ভোট শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে ভোট ডাকাতি ও অস্ত্রের মুখে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ রায়পুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বিএম জিলানী ভোট বর্জন করেন।

এছাড়া রামগঞ্জে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কিছু ককটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।এসময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে রামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ষ্টেশন মডেল প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয় আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহাজাহানের লোকজন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও বিএনপি প্রার্থী মোঃ বাবুলকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার সময় ত্রিমূখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ১০টি হাত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ১ ঘন্টা যাবত ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ছিলো। পরে র‌্যাব, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভোট কেন্দ্রে পৌছে পুনরায় ভোটগ্রহণ চালু করে। তবে এ ভোট কেন্দ্রটি আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহাজাহানেরর দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভোটাররা।

ওই ওয়ার্ডারে আরেকটি কেন্দ্র আউগনখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তরিকত ফেডারেশন সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সকাল ১০টার দিকে আ’লীগ প্রার্থী শাহজাহানের লোকজন আমিসহ আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং বাহির থেকে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে কয়েকটি হাত বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা আত্মরক্ষার জন্য প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আশ্রয় নেয়। এতে ১ ঘন্টার জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোয়ারী পুলিশ নিয়ে ওই কেন্দ্রের ভোট চালু করে। 

এ তিনটি পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ জন, কাউন্সিলর পদে ১২৩জন ও মহিলা কাউন্সিল পদে ২০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

এ নির্বাচনে ৩৯টি কেন্দ্রে এবার ৬৭হাজার ১শ’ ০৩জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে পুরুষ হচ্ছে ৩৪হাজার ১শ’ ৪৪জন এবং মহিলা ভোটার হচ্ছে ৩২হাজার ৯শ’ ৫৯জন। 

অন্যদিকে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে ভোট কেন্দ্রসমূহে ব্যপক সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। এ ছাড়াও স্টাইকিং ফোর্স হিসাবে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।