নীলফামারীর দুই পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন
মহিনুল ইসলাম সুজন
প্রিন্টঅঅ-অ+
আগামীকাল বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নীলফামারীর দুইটি পৌরসভায় অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার পর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোট কেন্দ্র গুলোতে ব্যালট পেপার,ব্যালট বক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী সরাঞ্জম পাঠানো শুরু হয়। এ ছাড়া সকাল থেকে জলঢাকা ও সৈয়দপুর দুটি পৌর সভায় নির্বাচন শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠানে জন্য আনসার বাহিনীর সদস্য ও পুলিশের পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবি ও বিপুল সংখ্যক র্যাব মোতায়েন মাধ্যমে টহল জোড়দার করা হয়েছে।
জেলার জলঢাকা ও সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ১০ জন, সংরতি মহিলা কাউন্সিলর ৩২ জন ও কাউন্সিলর পদে ১১৪ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই পৌরসভায় মোট
ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৭ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৫৫ হাজার ৪৬ জন ও পুরুষ ভোটার ৫৫ হাজার ৯০১ জন।
এরমধ্যে জলঢাকা পৌরসভায় ৬ মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, ধানের শীষ প্রতীকে ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট, আঃ লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকে বর্তমান মেয়র ইলিয়াছ হোসেন বাবলু, লাঙ্গল প্রতীকে শাহ আব্দুল কাদের বুলু, জগ প্রতীকে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের শরিফুল ইসলাম।
এই পৌরসভায় তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনে ১৪ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলার পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী রয়েছেন। এই পৌরসভায় মোট ভোটার ২৯ হাজার ৫৭৬ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৫২৭ ও পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৪৯ জন।
অপর দিকে সৈয়দপুর পৌরসভায় চারজন মেয়র প্রার্থী রয়েছে। এরা হলেন নৌকা প্রতীকে অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন, ধানের শীষ প্রতীকে বর্তমান মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ভজে, লাঙ্গল প্রতীকে জয়নাল আবেদীন, হাতপাখা প্রতীকে হাফেজ নূরুল হুদা।
এই পৌরসভার ৫টি নারী সংরক্ষিত আসনে ১৮ জন এবং ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার পদে রয়েছে ৭২ জন। মোট ভোটার রয়েছে ৮১ হাজার ৩৭১ জন। এরমধ্যে
নারী ভোটার ৪০ হাজার ৫১৯ জন ও পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৮৫২ জন। এই ভোটারদের মধ্যে আবার উর্দুভাষী ভোটার রয়েছে ৩৮ হাজার।
প্রথম দফায় আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর নীলফামারীর দুইটি পৌরসভার নির্বাচনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৪২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ/ঝুকিপুর্ণ হিসাবে চিহিৃত করেছে। এরমধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং জলঢাকা পৌরসভায় ১০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিকে ঝুকিপুর্ণ চিহিৃত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতে গুরুত্বপূর্ন ভোট কেন্দ্রে ১ জন পুলিশ অফিসারসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য, আনসার ভিডিপির ১৪ জন সহ ২১ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশসহ ১৯ জন সদস্য ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।এছাড়া প্রতি ৫টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব ও বিজিবির ৫টি মোবাইল টীম টহলে থাকবে।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ নির্বাচনী অনিয়ম রোধ এবং তাৎক্ষণিক বিচার ব্যবস্থার জন্য নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্বে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।