‘ভোট গেলেই ওমরা হামার ভাই থাকে না’
পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ূন
প্রিন্টঅঅ-অ+
‘ভোটের আগে ভাই ভাই, ভোটের পরে খবর নাই’ এই সংস্কৃতির পরিবর্তন চান গাইবান্ধার তিন পৌরসভার ভোটাররা। পৌর নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে প্রার্থীরাও বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটারদের সাথে কথা বলছেন।
তবে পৌর নির্বাচন নিয়ে গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ঘুম হারাম করে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। বরং শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এদিকে ‘ভোট চাই ভোটারের, দোয়া চাই সকলের’। ‘ভোট দেবেন একবার, সেবা পাবেন বারবার’। ‘৩০ তারিখের মার্কা .... মার্কা। তোমার ভাই আমার ভাই .... ভাই ....ভাই। দক্ষ দেখে পক্ষ নিন .... মার্কায় ভোট দিন। ‘এদিক-সেদিক যেদিকে যাই, .... ভাইয়ের তুলনা নাই’। ‘৩০ তারিখ শুভ দিন, .... মার্কায় ভোট দিন’। এই রকম আরো কত ছন্দ-শ্লোগান। প্রতিটি শ্লোগানের সাথে উচ্চারিত হচ্ছে প্রতীক ও প্রার্থীর নাম।
‘ভোট আসিলেই প্রার্থীরা সবাই হামার (আমাদের) ভাই-বোন হয়া যায়। মাইকে অমুক ভাই, তমুক আপাক ভোট দেন কহে প্রচার করছে। বাড়ি আসিয়া হাসি মুখে খোঁজ খবর নিচ্ছে, দৌঁড়ে বুকত (বুকে) টানিয়াও নিচ্ছে। কাই (কে) ধনী, কাই গরিব এলা (এখন) কোনো ভেদাভেদ নাই। ভোট গেলেই ওমরা (প্রার্থীরা) হামার ভাই থাকে না, স্যার-ম্যাডাম হয়া যান।
কথাগুলো বলছিলেন, গাইবান্ধা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ভোটার রফিক মিয়া (২৮) ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রিকশাচালক আউয়াল মিয়া (৩৫)।
এছাড়াও মাইকিং এর পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ, পোস্টার সাঁটানো, পথসভা তো চলছেই হরদম।
এদিকে গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভায় মোট ৫২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান প্রামানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনটি পৌরসভায় মোট ৫২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ তালিকা দিয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভায় ২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি এবং গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ।
এবার তিনটি পৌরসভায় ৮৬ হাজার ৫০০ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভার মোট ৪৬ হাজার ৩৮১ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৬৬১ জন ও নারী ভোটার ২৩ হাজার ৭২০ জন। সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় হাজার ২৩৯ ও নারী ভোটার তিন হাজার ৩৯০ জন। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৬১৮ ও নারী ভোটার ১৪ হাজার ২৬ জন।
এদিকে তিনটি পৌরসভায় মেয়র পদে ১৯ জন, কাউন্সিলর পদে ১৩৮ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।