ঝালকাঠির রাজাপুরের ৬টি ইউনিয়নেই চলমান মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের ভালো দাম না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। ফলে প্রতি বছরই ধান চাষে অগ্রহ হারাচ্ছেন বলে একাধিক কৃষক ক্ষোভের সাথে জানান। 

জানা গেছে, এ বছর বন্যা, মাজরা, পামরী পোকার আক্রমণ, পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমনসহ নানা প্রতিকূলতার পরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ধানের ভাল ফলন হয়েছে।

উপজেলার বামনকাঠি গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির ফরাজী ও মানিক হোসেন এবং জীবনদাসকাঠি গ্রামের কৃষক জয়নাল খান ও পুটিয়া খালি গ্রামের কৃষক আঃ জলিল ক্ষেভ প্রকাশ করে জানান, এ বছর লিজের জমি ছাড়া পৈত্রিক জমির প্রতি বিঘায় আমন ধান চাষ করতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। ধান পাওয়া যাচ্ছে প্রতি বিঘায় ১৪-১৫ মন। দাম কম থাকায় তার মুল্য ৮-৯ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা। তবে সরকার যদি সরাসরি  কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমুল্যে ধান ক্রয় করলে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা যাবে। 

রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উল্লা বাহাদুর জানান, এ বছর নানা প্রতিকূলতার পরেও উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকার কৃষকের যৌথ প্রচেষ্টায় লক্ষ্যমাত্রার  চেয়েও আমনের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকরা দিন দিন ধান চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। 

তিনি জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ৪৬ হাজার ২’শ ৮০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৬.৫৬২৫ মন। কিন্তু ফসল ভালো হওয়ায় প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ২৯.২৫ মন। কিন্তু বাজারে দাম কম হওয়ায় প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৪ শ’৫০ টাকা থেকে ৫ শত টাকা।