বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছে জেলা বিএনপি। রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম এ দাবী জানান। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সারাদেশে বিএনপির ৭ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদকসহ যুবদল, ছাত্রদল শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডঃ ওহিদুজ্জামান দিপুকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ বারবার তার বাড়ীতে হানা দিচ্ছে। এর পর গনতন্ত্রে বিশ্বাসী উদারপন্থি দল হিসাবে বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। 

এখন সরকার দলিয় প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা আমদের দলীয় প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকদের হুমকী প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বাগেরহাট শহরে মটরসাইকেল মহড়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়েছে। নির্বাচনের দিন এজেন্ট দিতে পারব কি না এনিয়ে সংশয় রয়েছে। 

তিনি বলেন, মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের কর্মীরা ধানের শীষ প্রতিকের ১৪ টি প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে। শনিবার ১১ জন কর্মীকে মারপিট করে আহত করেছে। পৌরমহিলা দলের আহবায়িকা সাবিনা সুলতানাকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী অ্যাডঃ মনিরুল হক তালুকদার নিজের বাড়ীর সামনে ফেলে লাঞ্চিত করে। এসব ঘটনা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ আকারে জানানো হলেও কোন আইনি সহায়তা পাচ্ছে না। ফলে, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা এনিয়ে বিএনপি চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবর রহমান, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা, মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ একেএম আঃ হাই, মোজাফ্ফর রহমান আলম, সেখ শাহেদ আলী রবি, অ্যাডঃ আসাদুজ্জামান প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা পৌরসভা নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ সহযোগীতা কামনা করেন। এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু ও অ্যাডঃ বজলেয়ার রহমান, সেখ আব্দুর রশিদসহ নেতা-কর্মীরা বাগেরহাট পৌরশহরে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর জন্য প্রচারণা চালান।