- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- এবার ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর তথ্য সংগ্রহ শুরু
এবার ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর তথ্য সংগ্রহ শুরু
সরকারের নির্দেশনা পেলে পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীরি বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ চলছে এবং সরকারের নির্দেশনা পেলে ও ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে তদন্ত শুরু হবে।
এছাড়া পলাতক মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বিধান যুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর সংশোধন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় গাইবান্ধা ও হবিগঞ্জের আট রাজকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। এদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
এই আটজন হলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এবং গাইবান্ধা-১ আসনে জামায়াত ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ আবদুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ, সুন্দরগঞ্জের মোহাম্মদ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মোহাম্মদ আবদুল মতিন, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, মোহাম্মদ আবদুর রহিম মিয়া। এদের প্রত্যেকের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। এরা প্রত্যেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অপর দুই জন হলো- হবিগঞ্জের লাখার থানার মো. লিয়াকত আলী ও আমিনুল ইমলাম ওরফে রজব আলী।এদের মধ্যে মো. লিয়াকত আলী লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। অপরজন আমিনুল ইসলাম স্বঘোষিত আলবদর নেতা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হাননান খান বলেন, ‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পরও জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ধরে রেখেছেন। আজিজ একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা মারতে গিয়ে একটা ঘোড়া মেরে ফেলেছিল বলে কথিত থাকায় স্থানীয়ভাবে তিনি ঘোড়ামারা আজিজ বলে পরিচিত। এই মানবতাবিরোধী অপরাধী ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামী থেকে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে সুন্দরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৩ জনকে হত্যা-গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার সাক্ষী ২৫ জন ও জব্দ তালিকার ৩ জন সাক্ষী রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।