নিঝুমদ্বীপকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
এস টি হোসাইন
প্রিন্টঅঅ-অ+
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও চিত্রল হরিণের আবাস্থল এবং পর্যটনপ্রেমীদের দর্শণীয় স্থান নিঝুমদ্বীপকে বনদস্যূদের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে দ্বীপের নামার বাজার এলাকায় ‘নিঝুমদ্বীপের বন বাঁচাও, হরিণ বাঁচাও’ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘উপকূল বাঁচাও আন্দোলন’ এর সংগঠক ও কর্মীরা। এসময় পাঁচশতাদিক স্থানীয় বাসিন্দা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে উপকূল বাঁচাও আন্দোলনের মুখপাত্র সাংবাদিক শাহেদ শফিক বলেন, ‘নিঝুমদ্বীপ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বিশ্ববাসীর জন্য একটি দর্শনীয় স্থান। মায়াবী হরিণসহ বিপুল সংখ্যক বন্যপ্রাণী দ্বীপে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। এর অপার সম্ভাবনা দেখে সরকার ইতোমধ্যে ৪০ হাজার ৩৯০ একর বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে অতি সম্প্রতি ভূমি দস্যু ও জল ডাকাতরা নির্বিচারে দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের গাছ নিধন করে চলেছে। যা প্রকৃতি প্রেমী মানুষকে হতবাক করে তুলেছে’।
দ্বীপের বনাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিত তুলে ধরে শাহেদ শফিক বলেন, ‘ছোঁয়াখালী, বো বাজার ও দুবাই খালসহ দ্বীপের সর্বত্রই হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গত
কয়েকদিনে দ্বীপের বনাঞ্চলের দুই তৃতীয়াংশ বাগান উজাড় হয়ে গেছে। বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে আগামী এক বছরের মধ্যেই নিঝুমদ্বীপের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বিলীন হয়ে যাবে।’
উপকূল বাঁচাও আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ইব্রাহীম পার্টি বলেন, ‘দস্যুদের নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে নিঝুমদ্বীপের ৫০ হাজার হরিণ হারিয়ে গেছে। প্রতিদিন দিনদুপুরে শতশত গাছ কেটে ভূমি দখল করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নিঝুমদ্বীপের কথা শুনে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে এলেও তারা হরিণ দেখাতে পান না। তাদের চোখে পড়ে শুধু গাছপালার ধ্বংসযজ্ঞ। দ্বীপের এমন অবস্থার কারণে পর্যটক কমে গেছে। আমরা যারা পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি, তারা আজ পথে বসার উপক্রম’।
নিঝুমদ্বীপ ভ্রমনে এসে মানববন্ধনে অংশ নেয় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সেনবাগ উপজেলা সভাপতি মাসুদ আহমেদ।তিনি বলেন, ‘নিঝুমদ্বীপ দেখতে এসে আমরা হতাশ। তাই রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। সরকার যদি এই দ্বীপকে বাঁচাতে এগিয়ে না আসে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিঝুমদ্বীপ হারিয়ে যাবে’।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।