জঙ্গিদের বোমা তৈরীর কারখানার খোঁজে গোয়েন্দারা
দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গিদের বোমা তৈরির কারখানা আছে কি না তা খুঁজে বের করতে মিরপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের বোমা তৈরির এ ধরনের কারখানা রয়েছে। সেগুলো খুঁজে বের করতে এ অভিযানে নেমেছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জঙ্গি ও বোমা নিয়ে কাজ করা একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, দেশের ভেতরে জঙ্গিদের অস্ত্র ও বোমা সরবরাহের নতুন কারখানা আছে কি না তা খুঁজতে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের নিয়ে কয়েকটি জায়গায় অপারেশন করা হয়েছে। সম্ভাব্য কিছু এলাকার নাম তারা বলেছে। ওইসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে তারা পালাতে না পারে।
তিনি আরো জানান, জঙ্গিরা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ ও সিলেট অঞ্চলের কথা বললেও সরাসরি কোন জায়গায় বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে তা বলেনি।
ধারনা করা হচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতেই জেএমবি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
বোমা বিশেষজ্ঞ গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, মিরপুরের বাসা থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা সঠিক পরিচয় বলেছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। আরো বিস্তারিত জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বোমার বিষয়ে তিনি বলেন, মিরপুরের বাসাটি তারা গত চার মাস আগে ভাড়া নিলেও এর আগেও তারা অন্য কোথাও বাসা ভাড়া নিয়ে বোমা তৈরি করেছিল। এ রকম সারাদেশে তাদের কতটি বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।
এর আগে হোসেনি দালানে বোমা হামলা ও কামরাঙ্গীরচরে উদ্ধার বোমার সঙ্গে মিরপুরে উদ্ধার করা বোমার হুবহু মিল রয়েছে। তবে জঙ্গিরা কোথা থেকে ওই বোমাগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল, তা বলতে পারেনি। সাধারণত যারা অপারেশনের দায়িত্বে থাকে, তারা সরবরাহের উৎস বলতে পারে না।
তিনি বলেন, হ্যান্ডগ্রেনেডগুলো তৈরি করতে যেসব উপকরণের দরকার তার সব উপকরণ দেশে পাওয়া যায় না। কিন্তু দেশি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগসূত্র নেই। তার ধারণা, দেশীয় এ সব জঙ্গি সদস্যরা পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকে হয়ত বোমা তৈরির উপকরণ নিয়ে আসতে পারে। আবার এমনও হতে পারে, পার্শ্ববর্তী দেশের কেউ এটি সরবরাহ করে থাকতে পারে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।