দুই সহস্রাধিক সন্ত্রাসী-গডফাদারের তালিকা ইসিতে
পৌরসভা নির্বাচনী এলাকায় দেশের ২ হাজার ২৯ জন সন্ত্রাসী/ক্যাডারের তালিকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি গোয়েন্দা সংস্থার এ তালিকা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়। বিকালে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব এ তালিকা গ্রহণ করেন।
সন্ত্রাসীরা যেন ভোটকেন্দ্রে দখল না করতে পারে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিতে সুপারিশ করা হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। এছাড়া ক্যাডার মদদদাতা গডফাদারদের বিরুদ্ধ আইননানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ইসিতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ হাজার ২৯ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিএনপি- এক হাজার ১২১ জন। এরপর আওয়ামী লীগের ৫৬১, জামায়াত-শিবিরের ২১১, জেএসএস’র ১০, জাতীয় পার্টির চার, পিসিপ’র ১ ও অন্যান্য ১২১ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, সক্রিয় এসব সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা বা গডফাদার রয়েছে ৬৩৭ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২১১ জন, বিএনপির ৩১২, জামায়াত-শিবিরের ৭৭, পিসিপি ১ ও জেএসএস একজন এবং অন্যান্য ৩৫ জন।
গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুই পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ও ২০৪ পৃষ্ঠার তালিকা সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে সক্রিয় সন্ত্রাসী, গডফাদার ও আশ্রয়দাতাদের নাম, ঠিকানা ও রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে শিগগির অভিযানের সুপারিশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দলসমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারকালে স্থানীয় সন্ত্রাসী-ক্যাডাররা সক্রিয় রয়েছে।
সক্রিয় সন্ত্রাসীরা সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে দুই পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপে গোয়েন্দা সংস্থাটি জানায়, সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখায়। তারা পাইপগান, রিভলপার, বন্দুক, শুটারগান, পিস্তল, কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।
২৩৩ পৌর নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে নামার আগেই এ তালিকা এল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খানের হাতে। পৌর নির্বাচনে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, এপিবিএন ও সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে চিহ্নিত অপরাধীদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।