সাংবাদিক সজীবের দাফন সম্পন্ন, দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়া আটক
নিখোঁজের তিনদিন পর উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক সজীবের মরদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহ নিয়ে আসা হয় সজীবের ঢাকার লালবাগের উর্দ্দু রোডের বাসায়। সেখানে জানাজা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় একটি হৃদয় বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সজীবের দ্বিতীয় স্ত্রী অঞ্জনা মুনিয়াকে (৩০) আটক করেছে র্যাব। তবে র্যাব দাবি করছে, মুনিয়াকে আটক অথবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে ছেড়ে দেয়া হবে। এর বেশি কিছু বলতে চাইছে না তারা।
তবে র্যাবের একটি সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর মুনিয়াকে বিয়ে করেন সাংবাদিক সজীব। পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের সঙ্গে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার বাসায় থাকেন মুনিয়া।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সজীব মুনিয়াকে বিয়ে করেছিলেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
অন্যদিকে, সজীবের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমান বলেছেন, ‘সজীবের মোবাইল ফোনে রহস্যজনক কয়েকটি কল আছে। বিশেষ করে নিখোঁজের দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক তরুণী কল করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই কলটি করেছিলেন সজীবের দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়া।’ কিন্তু সজীবের দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতেন না তার পরিবার এবং সহকর্মীরা।
মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সজীবের প্রথম স্ত্রী মোর্শেদা বেগম নিশি দাবি করে আসছেন, তার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারেন না। লঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সজীবের সহকর্মীরা জানান, এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত এবং ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়ার পরই হত্যা মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী ‘এমভি তাকওয়া’ লঞ্চ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজীব। নিখোঁজের তিন দিন পর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে ধলেশ্বরী নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।