আগামিকাল ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লী নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামে থাকা খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে বইছে উৎসের আমেজ ও চলেছে সাজসজ্জা। রাজবাড়িয়া গ্রামের ১৯টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে এ খ্রিষ্টান পল্লী। 

জানা গেছে, দুইশত বছর বা তার আগে পূর্তুগীজ শাসন আমলে এ অঞ্চলে খ্রিষ্টানরা বসতি স্থাপন করে। বর্তমানে এ পল্লীর জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। বড়দিনে অতিথিদের আপ্যায়নে কোন রকমের ত্রুটি না রাখতে ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে রকমারি পিঠাপুলি। পল্লীর সামনে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। অপেক্ষার দিনক্ষণ শেষ হতে বেশি সময় দেরি না হলেও মহাব্যস্ত এ পল্লীর খ্রিস্টান পরিবারগুলো।

অন্যদিকে পল্লীর একমাত্র গির্জাকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গির্জার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হয়েছে যিশুখ্রিস্টের প্রতিচ্ছবি। প্রার্থনা করতে আসা পুণ্যার্থীদের সেবায় গঠন করা হয়েছে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম। সব মিলিয়ে আগাম উৎসব চলছে খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজবাড়িয়া গ্রামের এ পল্লীতে।

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে মোল্লারহাট বন্দরসহ আশপাশের তৈরি পোশাক দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রির ব্যস্ততা বেড়েছে। এ পল্লীর বড়দিন উৎসব পালনের অন্যতম আয়োজক সাগর গমেজ জানান, নবরাজ খ্রিস্টকে গ্রহণ করতে বড়দিনের ৯ দিন আগে থেকে নভেনা খিস্ট্র যোগ বা পাপস্বীকার পর্ব চলছে। আয়োজকরা আরোও জানান, ২৫শে ডিসেম্বর শুক্রবার প্রথম প্রহর থেকেই প্রার্থনা ও আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে বড়দিনের শুভ সূচনা করা হবে। সকালে ঘরে ঘরে এবং শিশু বৃদ্ধা সকলের জন্য থাকছে উৎসবের নাস্তা, কেক কাটা এবং অতিথি আপ্যায়ন। বড়দিন উপলক্ষে বিকালে গির্জায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পরে বড়দিনের কির্তনের (ক্যারল) মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বড়দিনের উৎসব। উৎসব নিরবিচ্ছিন্ন করতে প্রশাসনের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে পল্লীর পক্ষ থেকে। 

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, গির্জা ও এর আশপাশে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।