ছাতকে প্যাকেটজাত মিটারে ভৌতিক বিল
নুর উদ্দিন
প্রিন্টঅঅ-অ+
ছাতকে পিডিবির বিদ্যুৎ সেবার নামে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের খেয়ালীপনা ও মনগড়া কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এখানের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে গ্রাহদের প্রতিনিয়ত অভিযোগ থাকলেও কোন প্রতিকার নিচ্ছেন না রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক ভুক্তভোগি গ্রাহক জানান, ছাতক বিদ্যুৎ অফিসের কার্যক্রম চলছে অফিস সংশ্লিষ্টদের খেয়াল খুশিমত। গ্রাহকদের মিটার রিডিং যাচাই না করে অফিসে বসেই মনগড়া রিডিং লিখে বিলের কপি ধরিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকের হাতে। এসব ভৌতিক বিল পরিশোধে গ্রাহকদের খেতে হচ্ছে হিমশিম। অনেক সময় সচল মিটারকে নষ্ট মিটার বলে মিটার বদলানোর বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে গ্রাহদের উপর। তাদের অভিযোগ অবৈধ সংযোগে সৃষ্ট ঘাটতির বোঝা বৈধ গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপাতেই তারা নানা অজুহাতে এসব করে যাচ্ছে।
উপজেলার জাউয়া বাজারের ব্যবাসায়ি ইসলাম উদ্দিন জানান, গত মার্চ মাসে তার দোকানে সংযোগ নিতে নতুন একটি মিটার নং (২৬১৭৬২) নেন তিনি। দোকানটি অবৈধ স্থাপনায় পড়ায় সড়ক জনপদ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা ঘুড়িয়ে দিলে তিনি নতুন মিটারটি আর সংযোগ স্থাপন করেননি। মিটারটি এখনো প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে। অথচ প্যাকেটজাত মিটারে গত মার্চ মাসে ১১৯৫ টাকা, এপ্রিল মাসে ১৩২৭ টাকা, মে মাসে ১৪৩১ টাকা, জুন মাসে ১৫৩৬ টাকা, জুলাই মাসে ১৪৪১ টাকা, আগষ্ট মাসে ১৫৩৬ টাকা এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১৬৭৭ টাকা ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে গ্রাহকের নামে।
এসব বিল পরিশোধের জন্য বারবার চাপ দেয়া হচ্ছে তাকে। মিটার ব্যবহার হয়নি একথা মানতে নারাজ বিল দাতা ব্যাক্তিবর্গ। বিদ্যুৎ অফিসের এমন কাণ্ড জ্ঞানহীন কার্যক্রম থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।