শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনই ৩৫ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ
শেষ হচ্ছে একটি বছর। এর সাথে সাথে নতুন বছরে নতুন করে শুরু হবে অনেক কিছু্ই। তার মধ্যে অন্যতম হলো একাডেমিক শিক্ষায় নতুন শিক্ষাবর্ষ। আর বছরের শুরুর দিনই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৫ কোটি পাঠ্যবই বিতরণের করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বই বিতরণ সঠিক সময়ে করার জন্য এরই মধ্যে ছাপার কাজ শেষ হয়ে অনেক জেলায় বই পৌঁছেও গেছে। এবারই প্রথম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সব বই ওয়েব সাইটে ই-বুক ফর্মে পাওয়া যাবে।
বছরের প্রথম দিনে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়া, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দৃষ্টান্ত। ২০১০ সাল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম।
এর আগে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ বই বিনামূল্যে দেওয়া হতো। বাকি বই আগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে পড়তে হতো। জুন-জুলায়ের আগে সব বই পেতো না শিক্ষার্থীরা। ২০১০ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ২ কোটি ৭৬ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ১৯ কোটি বই। ২০১১ ও ২০১২ সালে বই বিতরণ করা হয় ২৩ কোটির ওপরে। ২০১৩ সালে বইয়ের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭ কোটি ৩১ কোটি বই বিতরণ করা হয় ২০১৪ সালে।
এবার ৪ কোটি শিক্ষার্থীকে বিতরণ করা হচ্ছে ৩৫ কোটি বই।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এরই মধ্যে আমরা প্রায় ৭০ ভাগ বই পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি বই যেতে আর সর্বোচ্চ ৫ দিন লাগবে। নির্দিষ্ট সময়ে সবার হাতে বই পৌঁছে যাবে। শিক্ষাবর্ষের পহেলা দিনই বই তুলে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাতে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে ই-বুক ফর্মে দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে যে কেউ ডাউনলোড করতে পারবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতি জেলায় অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ বই সংরক্ষণ করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।