আকর্ষণীয় পেশি তৈরিতে সহায়ক যে ৪টি খাবার
শুধুমাত্র শরীরচর্চার মাধ্যমে সুগঠিত পেশি তৈরি সম্ভব না! আপনাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন আপনি রুটিন অনুযায়ী যেসব খাবার খান এবং শরীরচর্চার পর আপনি যে খাবার গ্রহণ করেন তা খুব দ্রুত আপনার পেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখে।
পেশি নির্মাণে এবং শরীরের চর্বি কমাতে হলে আপনাকে একটি পরিপূর্ণ ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আকর্ষণীয় পেশি তৈরির জন্য আপনি অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ আছে এমন খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
তাহলে জেনে নিন পেশি তৈরিতে সহায়ক কয়েকটি খাবার সম্পর্কে….
ডিম
ডিম খুব পরিচিত খাবার যা আমাদের দেশে সর্বত্র পাওয়া যায়। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে। যা সুস্থ মাংস পেশি তৈরিতে সহায়ক। আকর্ষণীয় পেশি তৈরিতে যে ৯টি অমিনো এসিড প্রয়োজন তা ডিমে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এ ছাড়া ডিমে উচ্চমানের প্রোটিন ক্যালসিয়াম, জিংক, ও আয়রন এর মত মূল্যবান খনিজ পদার্থ থাকে।
ডিমের কুশুমে ই, কে, বি১২, Riboflavin এবং ফলিক এসিডসহ বিভিন্ন ভিটামিন উপস্থিত থাকে। এইসব পুষ্টি আপনার পাকস্থলী সঞ্চালনে এবং শরীরের চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তর করবে। স্বাস্থ্যকর পেশি নির্মাণের জন্য প্রতিদিন এক থেকে ২টি ডিম খাদ্য তালিকায় রাখুন।
আপনি বিভিন্ন উপায়ে ডিম খেতে পারেন যা আপনাকে পেশি সুগঠনে সহায়তা করবে। সিদ্ধ ডিমে সাদা অংশ আপনার পেশী নির্মাণে সহায়ক।
মুরগির সিনার মাংস
চর্বিহীন পেশি পেতে অসাধারণ খাদ্য হল মুরগির সিনার মাংস। এটা চর্বিহীন প্রোটিনের একটি বড় উৎস যা সহজেই পেশির টিস্যু এবং অতিরিক্ত শরীর চর্চার সময় ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভাজা মুরগির সিনার মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের চর্বিহীন পেশী এবং সুস্থ বডি পাওয়ার দারুণ সুযোগ থাকে।
এছাড়া আপনি মুরগির মাংস সূপ এবং সালাদের সাথে খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন। অবশ্যই মুরগি চামড়া ছাড়া খেতে হবে। কারণ চামড়াতে প্রচুর চর্বি থাকে।
পেশী গঠনে দুধ
দুধের উপকারিতার কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা! সুস্থ পেশি গঠনে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। দুধের মাঠা এবং ছানায় আছে ২টি উচ্চমাত্রার প্রোটিন। মাঠার প্রোটিন দ্রুত অ্যামিনো এসিডকে বিভাজিত করে যা রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ছানা ধীরে ধীরে হজম হয় এবং শরীরকে একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ছোট পরিমাণে প্রোটিন সরবরহ করে।
দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা পেশি নির্মাণে সহায়তা করে। প্রতিবার ব্যায়াম এর পর ১ গ্লাস সর পড়া দুধ পান করুন। কিছু সমীক্ষায় চকলেট দুধ পান করার পরামর্শ পাওয়া যায় কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকে। কিন্তু এটা মাঝে মাঝে খাওয়া উচিত।
রুই মাছ
মাছ এর মধ্যে রুই পেশী নির্মাণে সবচেয়ে ভালো খাবার বলে বিবেচনা করা হয়। রুই মাছ চর্বিহীন পেশী নির্মাণ করতে। এবং এতে উচ্চমানের প্রোটিন থাকায় অন্যান্য সমন্বয় ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে কারণ এতে চেইন ওমেগা-৩ ফ্যাট, EPA এবং DHA ও ভিটামিন বি উপস্থিত থাকে।
এতে ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ও আয়রন এর মত অন্যান্য পুষ্টি আছে যা চর্বিহীন পেশী গঠনে এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে এক থেকে ২বার সালাদ বা সবুজ শাকসবজির সাথে ভাজা রুই মাছ খাওয়া যেতে পারে। আপনি মাছ পছন্দ না করলে মাছের তেল রান্নার সময় ব্যবহার করতে পারেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।