রামগঞ্জে মেয়র পদে জমে উঠেছে ২ পাটওয়ারীর লড়াই
পৌরসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মেয়র পদে দুই পাটওয়ারীর লড়াই চলছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল খায়ের পাটওয়ারী এবং বিএনপি প্রার্থী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃরোমান হোসেন পাটওয়ারী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন। সম্পর্কে তারা আত্মীয়। পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্রোহী বেলাল আহম্মদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে দলটির প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯ জনের নাম ঘোষণা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে অধিকাংশ ওয়ার্ডে দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ভোটে লড়াই করছেন। বিদ্রোহী ওই প্রার্থীদের কেউ কেউ নিজেদের এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে মদদ দিচ্ছেন বলে কানাঘুষা চলছে। এছাড়াও বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীই হামলা-মামলার ভয়ে ভোটের মাঠে উজ্জীবিত হচ্ছেন না। এতে তাদেরকে ভোটের প্রচারণায় নামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে, এখন ভোটের মাঠে তাদের ভরসা দলীয় প্রতীক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেয়র পদে রামগঞ্জে ৫ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে লবিং চালিয়েছেন। নানা নাটকীয়তার পর জেলা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল খায়ের পাটওয়ারীর নাম কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এতে বেঁকে বসেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহম্মদ। এ নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে তিনি চিঠি লেখেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন বেলাল আহম্মদ।
জেলা বিএনপি নেতারা তিনজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠায়। এরমধ্যে রোমান হোসেন পাটওয়ারীকে সমর্থন দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। গত পৌরসভা নির্বাচনেও তিনি মেয়র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে হেরেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে প্রথমে চিন্তিত ছিল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপির কিছু নেতাকর্মী হামলা-মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া। আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে। এ অবস্থায় নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে ভোটের মাঠে নামানো প্রার্থীর জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ মহসীনের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। বিএনপি প্রার্থী কিছুটা দুর্বল হলেও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ হওয়ায় ভোটে বেগ পেতে হবে না তাকে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ আবুল খায়ের পাটোওয়ারী বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করে একটি আধুনিক পৌরসভা গড়াই আমার অঙ্গীকার। আমি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং উন্নয়নে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাবো। ভোটারদের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি প্রার্থী রোমান হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। মেয়র নির্বাচিত হলে রামগঞ্জ পৌরসভায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করবো। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে আমার জয় হবেই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।