চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটযুদ্ধে ২৬১ কাউন্সিলর প্রার্থী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি পৌরসভার নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৪২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২০১ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত (মহিলা) পদের জন্য ৬০ জন। গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ২৭৬ জন প্রাথী। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তফসিল অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৯ অর্থাৎ ২৫১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়। ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপীল ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্তৃপক্ষ ১৪ ডিসেম্বর সোমবার মোট ২৬১ প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর থেকেই পূর্নদ্যমে মাঠে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ১৫ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৮৫ জন ও ৫টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভায় ৯টি সাধারণ পদে রয়েছেন ৩৮ জন ও সংরক্ষিত ৩টি কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী। গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভায় ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে মাঠে নেমেছেন ৩৮ জন ও সংরক্ষিত ৩টি পদে ৮ জন প্রার্থী। নাচোল উপজেলার নাচোল পৌরসভায় ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিযোগীতা করছেন ১৩ জন প্রার্থী।
এবারের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রতীক নিয়ে আপত্তি ও অসন্তোষ জানিয়েছেন বেশীরভাগ প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারগণ। তবে তারা বসে নেই। যে যা প্রতীক পেয়েছেন তাই নিয়েই মাঠ গরম করছেন। সাথে রয়েছে নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। বাড়ি বাড়ি, মোড়ে মোড়ে, বাজারে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণসংযোগ চলছে অনেক আগে থেকেই। এখন শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন স্লোগানে আর গানে গানে মাইকিং এবং প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী সভা। এবার ফেইসবুক আর মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমেও ‘ডিজিটাল’ প্রচার আর ভোট চাওয়া বেড়েছে বহুগুন। শহরগুলি যেন পোস্টারের শহরে পরিণত হয়েছে। পকেটে পকেটে লিফলেট সকলের। প্রথমদিকে কিছুটা অনাগ্রহ লক্ষ করা গেলেও আস্তে আস্তে ভোট জমে উঠতে শুরু করেছে। তীব্র ঠাণ্ডায় বিভিন্ন চায়ের আড্ডায় জমছে ভোটের আলাপ। চলছে তর্ক-বিতর্ক আর চুলচেরা নানান যুক্তি দেখাচ্ছেন কর্মী সমর্থকেরা। প্রেস আর মাইকের ব্যবসা জমজমাট। এবারের ভোটে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার প্রবণতা বেশ লক্ষনীয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোন পৌরসভাতেই এখন পর্যন্ত তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আচরণ বিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নাওয়া-খাওয়া বা ঘুম প্রায় নেই বললেই চলে। খুব ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবিরাম তারা ছুটে চলেছেন। ভোটারদের ওয়াদা করাচ্ছেন আর মান ভাঙ্গাচ্ছেন। শোনচ্ছেন আশার কথা, চাইছেন সমর্থন। ৩০ ডিসেম্বর বুধবার আসতে সময় যে আর বেশী নেই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।