কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ চরমে
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জন-জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতজনিত কষ্টে ভুগছেন দিনমজুর ও ছিন্নমুল শ্রেণির মানুষজন।
দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো শীতের চাদরে ঢেকে থাকায় দিনমুজর শ্রেণির মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে কর্মহীন অলস সময় কাটছে তাদের।
শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার ২ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই। গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিও। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন।
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেলার কৃষকরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিলেও কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় মাঠে যেতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে বোরো চাষ বিলম্ব হওয়ার আশংকা করছেন অনেকে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কৃষক ফিরোজ আহমেদ জানান, জমিতে বোরো চারা রোপনের সময় হয়েছে। কিন্তু অতি ঠান্ডায় শ্রমিকরা কাজ করতে চায় না। ফলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের অটো চালক খায়রুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা পযন্ত সুর্যেও দেখা নাই। ঠান্ডায় বাচি না। গরম কাপড়ও নাই। এতো ঠান্ডায় গাড়ী নিয়া বেড়াইতে পারছি না।
নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের বৃদ্ধা মমেনা বেগম বলেন, বাবা হামরা বুড়া মানুষ- গাত (শরীরে) দেবার কাপড় নাই। খুব ঠান্ডা লাগে বাবা। বাইরত বেড়বার পাং না। একটা কম্বল দিবেন বাহে?
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।