শুধু ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ এলেই চ্যানেলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের নাটক দেখানো হয়। কিন্তু পুরো বছরে মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে কোনো নাটক প্রচারিত হয় না। আর একটা বিষয় নিয়েও মাঝেমধ্যে আমি দ্বিধায় থাকি, তা হলো,  চ্যানেলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের যে নাটকগুলো প্রচার করা হয় সেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারছে কি না! 

কেননা বাংলাদেশের চ্যানেল এখন খুব কমই দেখে দর্শক। আগে তো দর্শককে আমাদের চ্যানেল দেখাতে হবে। আর শুধু বিশেষ দিবস ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক টিভিতে নিয়মিত প্রচার হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের নাটক নিয়ে এভাবেই বলেন অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান।

মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে রিচি তার ছেলে সম্পর্কে বলেন, দেখুন, আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড় ঘটনা। আমি হয়তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু আমার বাবা-দাদারা দেখেছেন। আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আমার বাবার লাশ দাফন করা হয়েছিল। বাবার মুখেই মুক্তিযুদ্ধের অনেক কথা আমি শুনেছি। কিন্তু আমি জানি না, আমার ছয় বছরের ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কতখানি জানাতে পারছি? কারণ, এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। বাচ্চারা যতক্ষণ সময় পায় ঠিক ততক্ষণই তারা মোবাইল ফোনে গেম খেলে অথবা ইন্টারনেটে বিভিন্ন কিছু খোঁজার চেষ্টা করে। এর মাঝেও আমি আমার ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার চেষ্টা করি। কারণ এখনই তার জানার উপযুক্ত সময়। 

তিনি আরো বলেন, এখন অনেক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বইতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তেমন সুস্পষ্ট কথা লেখা নেই। আর চ্যানেলগুলোতেও শিশু-কিশোরদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ওপর তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় না। আমি বলবো, এ প্রজন্মের শিশুদের জন্য প্রতিদিনই চ্যানেলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার হওয়া দরকার।