চিলাহাটি ও হলদীবাড়ী রেলপথ স্থাপনে পরিদর্শন
নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদীবাড়ী রেলপথটি পুনরায় স্থাপনে এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শশী কুমার সিংহ। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুদসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে মংলা, ঢাকা ও রাজশাহী থেকে সরাসরি ব্রডগেজের রেলপথ চালু রয়েছে চিলাহাটি পর্যন্ত। আর মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেললাইন পুনরায় স্থাপন করা হলে ভারতের সাথে ফের সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারবে। চিলাহাটি পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর রেলকারখানাও পরিদর্শন করেন।
দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি ১৮৭০ খ্রীঃ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত করেছিল সে সময় অসম বেঙ্গল রেলওয়ে। ওই সময় ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও সৈয়দপুর এবং দর্শনা দিয়ে দাজিলিং মেইল ট্রেনটি কলকাতা চলাচল করতো। এ ছাড়া চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতো একটি পাসপোর্ট ট্রেন। চালু ছিল স্থলবন্দর ও চেকপোষ্ট। কিন্তু পাক ভারত যুদ্ধের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ও স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর উভয় দেশ স্থাপিত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে উঠিয়ে ফেলেন। বর্তমানে উভয় দেশের রেললাইন না থাকলেও রয়েছে রেলপথের অবকাঠামো।
এদিকে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহ্জাহান খান চিলাহাটি পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর চিলাহাটি স্থলবন্দরের অবকাঠানো নির্মানের জন্য ১১ একর জমি সরকারিভাবে ক্রয় করা হয়েছে।
সুত্র বলছে ভারতের সাথে ফলপ্রসু আলোচনা শেষ হলেই চিলাহাটি হলদিবাড়ি সীমান্ত পথে সকল প্রকার কার্যাক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।