- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- কিশোরী হ্যাপির লাশ পুনঃতদন্তের জন্য উত্তোলনের নির্দেশ
কিশোরী হ্যাপির লাশ পুনঃতদন্তের জন্য উত্তোলনের নির্দেশ
ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হ্যাপি আক্তারের লাশ উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ হোসাইন দোলন। সঙ্গে ছিলেন অদিতি রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। এর আগে ১৫ নভেম্বর হ্যাপির মা মুক্তা বেগম হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট স্কুলে যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হ্যাপি ও সুমাইয়া।
এরপর বিকেলে তাদের অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে হ্যাপি মারা গেলে ওই যুবকরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা ১৫ আগস্ট ও হ্যাপির মা এক মাস পর ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এ ঘটনায় করা ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই ধর্ষণের বিষয়ে তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করে। কিন্তু বিচারিক আদালত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় তদন্ত না করে সুমাইয়ার বাবার করা হত্যা মামলায় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
হ্যাপির পরিবারের অভিযোগ, তাদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর হ্যাপির মা মুক্তা বেগম ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।