রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রলীগ নেতা মো. সাইফুজ্জামান সোহাগকে ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ তুলে নেওয়ার তিনদিন পর ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

সোহাগের বাবা আক্কাস উজ জামান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে আমার ছেলের শ্বশুরের কাছে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। তখন কিছু খরচ চাওয়া হয়। এরপর থেকেই ওই নম্বর বন্ধ হয়ে যায়।

সোহাগের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান বলেন, 'দুপুরে আমার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে আমাকে বলা হয় আপনার জামাইকে ফেরত পেতে হলে কিছু কিছু খরচা-পাতি লাগবে। এসময় কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে তার বাবার সাথে কথা বলিয়ে দিতে বলা হয়। এরপর থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।'

তিনি আরো জানান, ওই সময়ই ফোনে খবর আসে পিরোজপুর সোহাগকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা আছে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেটা সত্য নয়।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, টেলিফোনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এবিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অপহৃত সাইফুজ্জামান সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়ায়।