সৌদি নারীদের যা করতে মানা
সৌদি আজ শনিবার পৌরসভা নির্বাচনের অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নারীরা এই প্রথম প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই সৌদি নারীরা বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছেন। দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর এক খবরে তা তুলে ধরা হয়েছে।
নারী ভোটাররা পিছিয়ে
১৮ বছরে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা সাপেক্ষে এই প্রথম মাত্র এক লাখ ৩০ হাজার সৌদি নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৫০ হাজার। এএফপির তথ্যমতে, সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেও পুরুষদের মতো নারীরা সরাসরি উপস্থিত থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারেননি। পর্দার আড়ালে থেকে বা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুরুষদের কাছে তাঁদের প্রচার চালাতে হয়েছে। এমনকি নিজের ছবিযুক্ত কোনো পোস্টারও লাগাতে পারেননি কোনো নারী প্রার্থী।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও এর তাৎপর্য নিয়ে সচেতনতার অভাবে অনেক নারী ভোটার হননি।
পর্দা ছাড়া বাইরে পা দেওয়া বারণ
সৌদি নারীকে কঠোর পর্দার মধ্যে চলতে হয়। কেবল চোখ ও হাত ছাড়া আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হয়। ধর্মীয় পুলিশ তা বিষয়টি নজরদারি করে। চোখ ও হাত ছাড়া নারীর অন্য কোনো অংশ দেখা গেলে ওই পুলিশ তাদের শাস্তি দেয়।
ভিন পুরুষের সঙ্গে দেখা নয়
পরিবারের বাইরে অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই সৌদি নারীদের। অবশ্যই পরিবারের কোনো পুরুষ অভিভাবকের সঙ্গে বের হতে হয়। সৌদি আরবের বেশির ভাগ বাড়িতেই নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রবেশ পথ। শুধু বাড়িতেই নয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কর্মস্থলেও রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
গাড়ি চালাবে না নারী
সৌদি আরবের নারীদের এখনো গাড়ি চালানোর অনুমতি মেলেনি। নারীর গাড়ি চালানোকে সে দেশে ‘হারাম’ বা ‘নিষিদ্ধ’ বলে মনে করা হয়। নারীদের পর্দা প্রথা রক্ষা করার জন্য এটি করা হয়। নারীরা গাড়ি চালালে তাঁরা বাইরের পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে যাবেন। গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের দাবিতে একটি সংগঠন সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই আইনের বিরোধিতা করে অনেক নারী অধিকার কর্মী বিক্ষোভ করেঝেন। তবে কাজ হয়নি।
ব্যাংক হিসাব খুলতে অনুমতি
পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নারীরা বাইরে যেতে পারেন না, ব্যবসা করতে পারেন না, এমনকি চিকিৎসাও করাতে পারেন না। যদি চাকরি বা ব্যবসার অনুমতি মিলেও যায় সেখানে তাঁদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। ব্যাংক হিসাব খুলতেও লাগে পুরুষ অভিভাবকের সহায়তা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।