- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- ১২ ডিসেম্বর শত্রু মুক্ত হয়েছিল কক্সবাজার
১২ ডিসেম্বর শত্রু মুক্ত হয়েছিল কক্সবাজার
ক্যাপ্টেন (অবঃ) আবদুস ছোবহান
প্রিন্টঅঅ-অ+
মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাছে শত্রুরা টিকে থাকে পারেনি। বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে কিন্তু এদেশের মানুষকে ঠেকাতে পারেনি। বাঙালিরা লক্ষ লক্ষ প্রাণ দিয়েছে, ইজ্জত দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে। বিনিময়ে অর্জন করেছে স্বাধীনতা, বাংলার সম্মান ইত্যাদি। দীর্ঘ নয় মাস বাঙালির সাথে হাড় ভাঙ্গা যুদ্ধ করার পর পাকিস্তানী বাহিনী যখন দেখল তাদের বিজয়ের কোন সম্ভাবনা নেই পরাজয় নিশ্চিত তখনই তারা যেদিকে পারে সেদিকে পালিয়ে যেতে থাকে। অতঃপর সমস্ত এলাকা মুক্তিযোদ্ধারা এক এক করে দখল করে নেয়।
৯ ডিসেম্বর আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম গহীন জঙ্গল হাই ডাউট থেকে বাহির হয়ে গর্জনিয়া হয়ে খাউয়ার খোপ শিল্পপতি ফারুক আহমদ সাহেবের স্কুলে অবস্থান করি। পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বর লোক মারফত রামু থানাকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানাই। কিন্তু সেটা তারা কর্ণপাত না করে ঐ দিন রাত্রে আমাদেরকে লক্ষ করে নদীর ওপার থেকে ফায়ার শুরু করে। তাদের সেই ফায়ারের জবাব দিতে আমরাও পাল্টা ফায়ার করি। এর পর দিন অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে আমরা রামু থানা অপারেশনের প্রস্তুতি নিই এবং অপারেশন শুরু করি। অপারেশন সফল করার পর আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজার অপারেশন করব।
কিন্তু তৎক্ষনাত উখিয়া থানা থেকে তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী শাহজাহান চৌধুরী ও তৎকালীন রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক প্রকাশ গুরা মিয়া এর লিখিত একখানা চিঠি লোক মারফত আমার হস্তগত হয়। চিঠি পড়ে জানতে পারলাম যে, উখিয়া থানার সব আর্মস অ্যামিনেশন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও বার্মার বিদ্রোহীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি কাল বিলম্ব না করে পাহাড় পথ হয়ে আমার সহযোদ্ধাদের নিয়ে উখিয়া থানায় চলে আসি এবং তৎক্ষণাত উখিয়া থানা আক্রমণ করি।
উক্ত অপারেশন সফল হওয়ার পর আমরা অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে রত্নাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্প স্থাপন করি। সেখান থেকে পরের দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আমরা কক্সবাজার শহর অপারেশন করার উদ্দেশ্যে ৪ টি বাসে করে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্প হতে সকাল ১০ টায় যাত্রা করি। রেডক্রস কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সাদা জীপ কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও জিয়াউদ্দিন চৌধুরী (রত্না) আমাদেরকে ৪ টি বাস যোগাড় করে দেন। আমাদের যাত্রা কোন কোন স্থানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তার সহযোগীরা কোন স্থানে উৎপেতে থাকতে পারে এবং অতর্কিত আক্রমণ করতে পারে আশংকা করে অস্ত্রের নল গাড়ির বাহির দিক দিয়ে সামনে এগুতে থাকি। সেদিন ছিল মরিচ্যা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বার। লোক লোকারণ্যে আমরা যখন কোটবাজার ও মরিচ্যা বাজরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার লোক দণ্ডায়মান হয়ে দুই হাত উপরে তুলে আমাদেরকে স্বাগত জানায়। তাদের মুখে ছিল জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি গণবিদারী শ্লোগান। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমরা বাধাহীন ভাবে লিংক রোড পর্যন্ত পৌঁছি। শুনলাম লিংক রোডের দক্ষিণে পাহাড়ে পাক বাহিনী অবস্থান করেছে। রেকি করে দেখলাম তাদের কোন অস্থিত্ব নেই। অতঃপর হাসেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত যাওয়ার পর আমার সহযোদ্ধাদেরকে ৪ টি গ্রুপে ভাগ করি। গ্রুপগুলোর অবস্থান
৩৯৪১৮৪৯ সিপাহী মনজুর আলম চৌধুরী
৩৯৩৭৬৩১ সিপাহী সাইদুল হক
১৪১৬৩ সিপাহী মোঃ হোসাইন
১৫০৯২ সিপাহী নুরুল হোসাইন
১৬৩৮৫ সিপাহী এম.এ ওহাব রাজা
১৫৩৬৭ সিপাহী আব্দুল খালেক
১৬২৮২ সিপাহী সুলতান আহমদ
৩৯৩৭৪৫৬ সিপাহী রেজাউল করিমসহ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত
প্রথম গ্রুপ: (হেড কোয়ার্টার)
আমি নিজে এবং আমার সাথে যারা ছিল রেজিমেন্টাল নাম্বার অনুযায়ী নিম্নরূপ-
২য় গ্রুপ: ১৬৯৪ হাবিলদার আব্দুল জলিল কমান্ডারের সাথে-
৭৯৩৯ নায়েক ফয়েজ আহমদ (টু আইসি) সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধাসহ হাশেমিয়া মাদ্রাসার পাশ্চিম পাশ দিয়ে দক্ষিণে কিছুদূর গিয়ে পশ্চিম রাডার স্টেশন পর্যন্ত।
৩য় গ্রুপ: ৩২৯৯ নায়েক আব্দুল কাদেরের সাথে
৯৩২৮২৭ ল্যান্স নায়েক আব্দুস ছোবহান (টু আইসি) সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধাসহ হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে কিছু দূরে পশ্চিমে দক্ষিণে পশ্চিম দিকে কোর্ট পর্যন্ত।
৪র্থ গ্রুপ: ৩৯৩৩৫৮৬ নায়েক আব্দুস ছালামের সাথে
৩৯৩৩০৫৪ ল্যান্স নায়েক আমিনুল হক (টু আইসি) সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধাসহ হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে সোজাসুজি উত্তর দিকে কিছুদূর গিয়ে বাঁকখালীর পাশ দিয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।
এছাড়া সকল গ্রুপকে নির্দেশ দিলাম রাডার স্টেশনে মিলিত হওয়ার জন্য। আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমের মধ্যে আমরা সর্বপ্রথম পুরাতন সার্কিট হাউজে যাওয়ার জন্য যাত্রা আরম্ভ করি। কারণ শুনেছিলাম সেখানে পাক-বাহিনীর অফিস ছিল এবং সেখানেই তারা আমার দেশের মানুষকে ধরে নিয়ে আসত। হত্যা, নির্যাতন চালাত, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করত। কিন্তু শত্রুরা আমাদের উপস্থিতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনে সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। কেননা এর আগেও তারা জানত যে, মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিদিন কোন না কোন এক জায়গায় অপারেশন চালিয়ে শত্রু মুক্ত করছে। যেমন- ঈদগড়, ঈদগাঁ, রামু থানা, ডুলাহাজারা ইত্যাদি।
প্রত্যেক অপারেশন মুক্তিযোদ্ধারা সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। সার্কিট হাউজে পৌঁছার পর আমার মন-প্রাণ, দেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরা শিহরিত হয়ে উঠল। অঝোর ধারায় নেমে আসল দু’চোখ বেয়ে অশ্রু। শুধু আমার কেন, আমার সাথে এমন কেউ ছিল না যারা কষ্ট পায়নি। কি নির্মম আচরণ পাক-হায়েনাদের। এখানে ওখানে ছিটিয়ে আছে মানুষের কঙ্কাল, হাঁড় ও মাথা ইত্যাদি। মনে হচ্ছে এ অবস্থাতে তারা বাঁচতে চাচ্ছিল। স্বাধীনতা চাচ্ছিল। মনে হচ্ছে আমাদের কাছে তাদের করুণ আর্তনাদ, আমরা বাঁচতে পারলাম না। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত বাঁচান, আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন, এদেশ স্বাধীন করুন, এদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানীদের তাড়িয়ে দিয়ে আমাদের হত্যার প্রতিশোধ নিন।ক্ষণকাল নিশ্চুপ থেকে মনে একান্ত গহীন থেকে কথাগুলো অনুভব করলাম। কষ্ট হয়েছে প্রচুর, পাশাপাশি ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে ঐসব পাষণ্ডদের উপর।
ক্রমান্বয়ে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে করতে দেখলাম জনশূন্য ঘরবাড়ি, অফিস আদালতের কোন দালানই অক্ষত নেই। এখানে বুলেটের আঘাতে কোন স্থানে চিহ্নিত হানাদার বাহিনীরা পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য পাগলের মত সফল উৎপাত করেছে। আমরা রাডার স্টেশনে পৌঁছি এবং পরিকল্পনা মতে সকল গ্রুপকে একত্রিত করি। অতঃপর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলাম। পতাকা তোলার সময় আমার মনের অবস্থা কি হয়েছিল তা লিখে বুঝাবার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বুঝেছিলাম শরীরের প্রত্যেকটি লোম শিউরে উঠে ছিল। আমার সহযোগিরা সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গাইতে লাগলাম। সাথে সাথে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল গেল নয় মাসে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা। মনে হল আমি যেন আকাশের চাঁদটা ছিড়ে এনে আমার দেশের মানুষকে উপহার দিতে পেরেছি।
রাডার স্টেশনে এমন একটি জায়গায় পতাকা স্থাপন করা হয়েছে যেন তা সমুদ্র পথ, আকাশ পথ, স্থল পথ প্রতিটি দিক থেকে সবই দেখা যায়। আর তাই স্টেশনে পতাকা উড়ালাম যাতে মিত্র বাহিনী আমাদের পতাকা দেখে এবং কক্সবাজারের কোন ক্ষতি সাধন না করে এর থেকে আরো বুঝা যাবে কক্সবাজার এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। শত্রুবাহিনীও বুঝতে পারবে অন্তত আর তাদের স্থান হবে না। সেখানে আমরা পাবলিক লাইব্রেরীতে এসে দেখি আরো বিভৎস দৃশ্য। শুধু রক্ত আর রক্ত, চারিদিকে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। অথচ আজকের পৃথিবীতে এক ফোঁটা রক্তের মূল্য অনেক, রক্তের অভাবে মারা পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু সে সময়ে আবর্জনার মত সাগর জলের জোয়ারের ন্যায় মানুষের তাজা রক্ত পদ দলিত হয়েছে। অন্য মানুষের চলার পথে শত শত কুকুর খাচ্ছে এসব। একটু ফিরে থাকানোর মত কেউ ছিল না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রক্তের বন্যা থেকে পরিচয় মিলেনি কার রক্ত কোন জায়গায়। এসব ভেবে মন কাঁদল আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হল না। কারণ দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। ঐদিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর একটি মাইক নিয়ে শহরময় আমাদের আগমণ ও পতাকা উত্তোলনের খবর প্রচার করার জন্য আমার সহযোদ্ধাদের নির্দেশ করলে তারা তৎক্ষণাত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মাইকে বলা হলোঃ
১। মুক্তিবাহিনী কক্সবাজার দখল করে শত্রু মুক্ত করেছে।
২। রাডার স্টেশনে ও পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সাব-সেক্টর কমান্ডার আব্দুস ছোবহান সাহেব।
৩। শত্রু বাহিনী এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা পাবলিক লাইব্রেরীতে এসে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার আব্দুস ছোবহানের নিকট আত্মসমর্পণ কর।
এই সংবাদ শুনে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত হাজার হাজার জনতা পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে উপস্থিত হয়। এ যেন মানুষের সমুদ্র। তাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হল। স্বজন হারানোর কথা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমি কাকে রেখে কার কথা শুনব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাদেরকে সান্তনা দেওয়ার মত ভাষা তখন আমার ছিল না। শুধু স্বাধীন হওয়ার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলাম। অতঃপর নূর হোটেলের দক্ষিণে পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে তক্তা দিয়ে আমাকে জিপের উপর দাঁড় করানো হল জনতার উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য। তাৎক্ষণিক কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবুও যতটুকু পেরেছি তাদেরকে সান্তনা দেবার চেষ্টা করেছি।
আমার বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ
মুক্তি পাগল ভাই বোন ও বন্ধুরা আপনারা আমার সংগ্রামী অভিনন্দন এবং কক্সবাজার সদরের বিজয় বার্তা গ্রহণ করুন। নয় মাসের সমস্ত দুঃখ বেদনা আজকের এই বিজয় দিয়ে মুছে ফেলুন। আপনারা যাদেরকে হারিয়েছেন তাদের জন্য মন খারাপ করবেন না বরং তাদের মৃত্যু নিয়ে গর্ববোধ করুন। মনে রাখবেন তারা স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে। তারা চির অমর। এই সেই কক্সবাজার যেখানে প্রখ্যাত ছাত্র নেতা সুভাষকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা। এই কক্সবাজার যেখানে দেশ প্রেমিকদের রক্তের পাহাড় রচনা করেছে হায়েনারা। এই সেই কক্সবাজার যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ফরহাদের মৃতদেহ, পাঞ্জাবী, কুকুর ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল। এই সেই কক্সবাজার যেখানে এডভোকেট পীযুষ বাবুর শ্রদ্ধেয় পিতা এডভোকেট জ্ঞান চৌধুরীকে ঘর থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। তাদের প্রাণের বিনিময়ে, তাজা রক্তের বিনিময়ে কক্সবাজার আজ আমাদের এই কক্সবাজার, বাঙালি জাতির কক্সবাজার। সমগ্র বাঙালী জাতির পক্ষ থেকে বীর শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং আল্লাহ তা’আলার কাছে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের নিকট ছোট্ট অনুরোধ রেখে আমি আমার বক্তব্য শেষ করি যে, এখন থেকে পাক-বাহিনীর সদস্য, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, স্বাধীনতা বিরোধী যাদেরকে পাবেন আমার কাছে ধরে নিয়ে আসবেন। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের শাসন কার্য আমিই চালাব।
উক্ত বক্তব্য শেষ করেই আমি সহযোদ্ধাদের নিয়ে আমার নির্দিষ্ট অবস্থানে ফিরে যাই। আমাকে বিশেষভাবে বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কক্সবাজারের আবুল কাশেম। আমার আনন্দ, আমার আকাঙ্খা, আমার স্বপ্ন, আমার সম্মান সবকিছু আমি ফিরে পেয়েছি ১২ ডিসেম্বর নিজ হাতে কক্সবাজারের প্রথম পতাকা উত্তোলনের ভিতর দিয়ে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।