- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- গাইবান্ধায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ
গাইবান্ধায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে মাঠে সরিষা গাছের হলুদ ফুলের সমারোহ অবলোকনে পথিক মানুষসহ সকল কৃষকের মন ভরে যায়।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের ধারণা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষা চাষিরা এবার আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। অন্য যেকোনো আবাদের চেয়ে সরিষা চাষে তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। বিগত বন্যায় রোপা আমন ফসল বিনষ্ট হওয়ায় ওইসব জমিতে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়ার আশায় সরিষার আবাদ করেছেন চাষীরা। যথাসময়ে সার বীজ পাওয়ায় ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষককুল।
সরেজমিনে উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে জমিতে শোভা পাচ্ছে হলুদের সমারোহ সরিষা ক্ষেত। শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষীরা সরষে ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকুলে এবং সার বীজ সংকট না থাকায় সরিষা বীজ বুনে ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের ছালুয়া গ্রামের তফিল উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ছায়দার রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে বারী-৭, ৯, ১৪ ও ১৫, টরি-৭, বিএডিসি-১, বিনা-৭ জাতের সরষে আবাদ করেছেন। সুষম সার প্রয়োগের ফলে তাদের জমির ফলন খুব ভালো হয়েছে।
কৃষকরা বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিগত বন্যায় আমন ধানের ক্ষেত সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিয়ে উক্ত জমিতে সরিষার চাষ করেছি। তাছাড়া সরিষা ঘরে তুলে যথাসময়ে বোরো ধান রোপণ করা যাবে। ফলে কম খরচে স্বল্প সময়ে সরিষার আবাদ করে আর্থিকভাবে কিছুটা লাভবান হওয়া যাবে।
উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো বীজ দিয়ে সরিষা চাষ করে ফলন ভালো পাওয়া যায়। এটা যারা বুঝতে পেরেছে তারা কৃষি বিভাগের উপদেশ মেনে ফসল চাষ করছে। তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে নতুন জাতের সরিষা চাষের নিয়ম কানুন জেনে নিয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার তাহাজুল ইসলাম জানান, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময়সহ তাদেরকে নতুন জাতের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার সরিষার চাষ বেশি করেছেন কৃষকরা।
লক্ষ্যমাত্রা কম থাকলেও চলতি মৌসুমে ফুলছড়ি উপজেলায় ১১’শ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে ও খরচে ফলন ঘরে তুললে আগামীতে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হবে কৃষকরা। খরচ বাদে কৃষক অন্য ফসলের চেয়ে লাভবান বেশি হবে। তিনি সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করে বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব না পড়লে ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না হলে এ বছর আশানুরূপ ফলনের সম্ভব হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।