চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের কয়েন (ধাতব মুদ্রা) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। অন্যায় ভাবে ব্যাংক সম্পূর্ন বৈধ এই ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করে সংকট সৃষ্টি করছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলা পরিবেশক সমিতির ব্যানারে ব্যবসায়ীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা পার্কে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি গোলাম শাহনেওয়াজ অপুসহ অন্যরা। সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংগুলো ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করায় ব্যবসা বানিজ্যের লেনদেনে চরম সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায়শই তিক্ততার সৃষ্টি হচ্ছে। অবিলম্বে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান বক্তারা। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। 

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষ পণ্য কেনার পর কয়েন দিলে তা নিতে চান না ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, হাজার হাজার টাকার কয়েন জমা হয়ে রয়েছে অনেকের প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু ব্যাংকগুলো কয়েন নিতে চাচ্ছে না। উপজেলাগুলির বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দু’এক বছর আগেও কয়েন পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যবসায়ীরা খুচরা টাকার চাহিদা মেটানোর জন্য বেশী দামে কয়েন কিনত। অথচ বর্তমানে চিত্র উল্টো। 

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, অল্প পণ্য ক্রয় করে কয়েন দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না সাধারণ মানুষের। কিন্তু সেই কয়েন ব্যবসায়ীরা পরে আর কাজে লাগাতে পারছেন না। এতে করে বিপাকে পড়ছেন বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কয়েন জমা রেখেও বিপাকে পড়েছেন অনেকে। তারা সেগুলো কোথাও বিনিময় করতে পারছেন না বা কেনাকাটাও করতে পারছেন না। অনেক বড় বড় মুদি দোকান, বেকারীসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার টাকার কয়েন বদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এসব জমে থাকা কয়েনগুলো তাদের কোন কাজে আসছে না। এ সমস্যা দূর করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ ক্রেতারা।