- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- নীলফামারীর বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলন
নীলফামারীর বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলন
মহিনুল ইসলাম সুজন
প্রিন্টঅঅ-অ+
আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হলো নীলফামারীতে। বুধবার সন্ধ্যায় ৬টায় নীলফামারী জেলার সকল বধ্যভুমিতে একযোগে আলো প্রজ্জ্বলন আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নীলফামারী সরকারি কলেজ চত্বরে থাকা ৭১ এর পাকি সেনা ও রাজাকার আলবদর বাহিনীর হাতে গণহত্যার স্থানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়।
এ ছাড়া জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও সৈয়দপুরের বধ্যভুমিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ অনুরূপ কর্মসুচী পালন করে। আলো প্রজ্জ্বলিত অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার গুলোর সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
নীলফামারী সরকারি কলেজে আলো প্রজ্জ্বলিত শেষে কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা আরজু-মান্দ বানুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, কলেজের উপাধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম, জেলা আঃলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের জেলা আহবায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল,জেলা কালচারাল অফিসার আরিফুজ্জামান আরিফ প্রমুখ। আলোচনা শেষে সেখানে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পিরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল। এত কম সময়ে একটি মাত্র দেশে ৩০ লক্ষেরও বেশী মানুষ কোথাও হত্যা করা হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এ ধরনের ঘটনা ছিল প্রথম। শুধু তাই নয়, হত্যার সঙ্গে নির্যাতন করা হয়েছিল ৬ লক্ষের বেশী নারীকে। ইজ্জত নেওয়া হয়েছিল দুই লক্ষ বাঙালি নারীর। যারা পরিচিত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। এ ছাড়া নিপিড়িত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণহত্যার শিকারগ্রস্থ ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার শিকারগ্রস্থদের স্মরণ ও মর্যাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই বছর থেকে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গণহত্যার শিকারগ্রস্থ ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতিকথা স্মরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। প্রতি বছর দিবসটি ৯ ডিসেম্বর পালন করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।