- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- আজ নড়াইল মুক্ত দিবস
আজ নড়াইল মুক্ত দিবস
আজ ১০ ডিসেম্বর। নড়াইল মুক্ত দিবস। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের জন্মভূমি ও স্মৃতিধন্য নড়াইল জেলা ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয়।
২৪ নভেম্বর কালিয়া ও ৮ ডিসেম্বর লোহাগড়া মুক্ত হওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে ৯ ডিসেম্বর চিত্রা নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থান নিয়ে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে অবস্থানরত পাকবাহিনীকে ঘিরে ফেললে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হন এবং অধিনায়ক বেলুচ কালা খান ‘সারেন্ডার সারেন্ডার’ বলে চিৎকার শুরু করে। এরপর ২২ জন পাকসেনা ও ৪৫ জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করলে নড়াইল হানাদারমুক্ত হয়। বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন নড়াইলবাসী।
তবে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নড়াইলে তিন হাজারেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে চিত্রা নদীর পাড়ে আদালত চত্বর এলাকার বধ্যভূমিতে ফেলা হয়। এ ছাড়া, ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই নড়াইল সদরের তুলারামপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক তরফদার আতিয়ার রহমান, আব্দুস ছালাম তরফদার, আলতাপ হোসেন তরফদার, রফিউদ্দিন তরফদার, মাহতাব উদ্দিন তরফদার, কায়জার রহমান, মোকাম মোল্যা ও মকবুল হোসেন সিকদারকে পাকবাহিনী বাড়ি থেকে ধরে এনে উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে গণকবর দেয়।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐহিত্য সমৃদ্ধ নড়াইলের ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন। তারা হলেন-বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ, বীরউত্তম মুজিবুর রহমান, বীরবিক্রম আফজাল হোসেন, বীরপ্রতীক খোরশেদ আলম, মতিয়ার রহমান ও শাহ হাবিবুর রহমান। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ও ঐহিত্যে নড়াইলের ‘লোহাগড়া’ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান থাকলেও এখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা কামান্ডার এমএম গোলাম কবির ও লোহাগড়া উপজেলা কমান্ডার মফিজুল হক জানান, যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যায় লোহাগড়া উপজেলা দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। তবে, স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও লোহাগড়ায় নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।
চিহিৃত হয়নি লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের ৩৯ জন শহীদের কবরও। নড়াইল পানি উন্নয়নবোর্ডের গণকবরসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সদরের গ্রুপ কমান্ডার আবদুল হাই বিশ্বাসসহ মুক্তিযোদ্ধারা। নড়াইল মহকুমার তৎকালীন কমান্ডার উজির আহমেদ খান বলেন, হানাদারমুক্ত করার লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমরা নড়াইল শহর দখল করি এবং পরদিন ১০ ডিসেম্বর নড়াইলমুক্ত হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।