বিলুপ্ত ছিটে দুর্নীতির গন্ধ!
ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত দাছিয়াছড়া ছিটমহলে ২০১৫-১৬ অর্থ বছছে হতদরিদ্র পরিবারের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে নামের তালিকা অন্তভুক্তির করার জন্য প্রতিজন শ্রমিকের নিকট থেকে টাকা নেয়া হয়েছে বলে ছিটের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দাছিয়াছড়া ছিটমহলের প্রথম পর্যায়ে কর্মসৃজন কর্মসূচির ৪০ দিনের মাটি কাটা কাজের জন্য ১০৭ জন দীন মজুরের বরাদ্ধ পাওয়া যায়। ছিটের অপু মিয়া, পরেশ চন্দ্র, শহিদ, শহিদুল্লা আবু সামা,জানান,দাছিয়ারছড়ার আন্দোলনকারী দুই নেতা আলতাফ হোসেন ও নূর আলম সবার নিকট থেকে খরচ বাবদ ২-৩শ‘করে টাকা নিয়েছে।
ছিটমহল আন্দোলন কারী নেতা আলতাফ হোসেন ও নুর আলম জানান সাংবাদিকদের বলেন, জন প্রতি ২-৩শত করে টাকা বিভিন্ন খরচ বাবদ নিয়েছি এটা ভুল হয়ে গেছে, টাকা ফেরৎ দেয়া হবে। আপনারা লেখালেখি করেন না ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক রব্বানী সাহেবকে দায়িত্ব দিয়েছি উনি ভাল জানেন। তবে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, আমরা দাছিয়াছড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধমে নামের তালিকা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে আমাদের করার কিছুই নেই । অপর দিকে কৃষকের মাঝে গম প্রদশর্নীর সার বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কৃষককে ৩৬ কেজি করে সার কম দেয়া হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রডাক্টিভিটি প্রজেক্টের (আইএপিপি) আওতায় দাশিয়ার ছড়ার ২০ জন কৃষককে প্রদশর্নীর জন্য গম বীজ ও সার প্রদান করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: মাহবুবুর রশিদ বলেন, আত্মসাৎ নয় ভ্যাট এবং অডিট খরচ বাবদ সার কম দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সাবেক ছিটমহল আন্দোলন কারী বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, ৬৬বছর আমরা দুর্নীতির স্বাদ গন্ধ পাইনি। এখন দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছি। এটা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।