বেগম রোকেয়া দিবস আজ
আজ সোমবার নারী জাগরণ ও নারী আন্দোলনের পথিকৃত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ৮১তম জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী। একই দিনে এ মহিয়সী নারীর জন্ম ও মৃত্যুদিন হওয়ায় দিবসটি বেগম রোকেয়া দিবস হিসেব পালিত হয়ে আসছে। ১৮৮০ সালের এই দিনে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন উপমহাদেশের এই মহিয়সী নারী।
১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা ও তার জন্মস্থানে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। রংপুরের পায়রাবন্দে প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হবে রোকেয়া মেলা। জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার ও রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানীর কন্যা বেগম রোকেয়া। রোকেয়ার ২ বোন ও ৩ ভাই।
বড় ভাই ইব্রাহিমের হাতে বাংলা ও ইংরেজি শেখেন বেগম রোকেয়া। ১৮৯৬ সালে ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে স্বামী সাখাওয়াত হোসেন রোকেয়ার লেখাপড়া ও সাহিত্য চর্চায় আগ্রহ দেখে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেন। ১৯০২ সালে ‘পিপাসা’ নামের বাংলা গল্পের মধ্যে দিয়ে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন তিনি।
১৯১৬ সালে রোকেয়া মুসলিম বাঙালি নারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিন ইসলাম’।
স্বামীর মৃত্যুর পর ভাগলপুরে মেয়েদের জন্য সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বেগম রোকেয়ার লেখায় নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই নারী সমাজ নীরব সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস করতে তিনি। এ মহিয়সী নারীর নামে নিজ গ্রামে নিজ বাড়িতে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র, পাঠাগার স্থাপন, রোকেয়া গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর এ মহিয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।