কর্মস্থলে মাতৃদুগ্ধ দানের অভ্যাস জনপ্রিয় করার উদ্যোগ
কর্মস্থলে মাতৃদুগ্ধ দানের অভ্যাস জনপ্রিয় ও জোরদার করতে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিসেফ এবং ডিবিএল গ্রুপ।
ব্রেস্ট ফিডিং ইন দি ওয়ার্কপ্লেস ইনিশিয়েটিভ (বিএফডাব্লিউআই) প্রকল্পের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সোমবার ইউনিসেফ-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ লক্ষ্যে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি স্মারকপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। ডিবিএল গ্রুপের নির্ধারিত কয়েকটি পোশাক কারখানা এলাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে ৪ হাজার ৭৬৭ নারীশ্রমিক, ৩৪০ গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলা এবং অন্তত ৩৪০ শিশু-কিশোরের কাছে এই সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এই উদ্যোগে অর্থায়ন করবে বিল অ্যাল্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
কারিগরী সহায়তা দিবে ইউনিসেফ ও এর সহযোগীরা। এর মধ্যে রয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা বাড়ানো, মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো এবং কর্মীদের জন্য এ সংক্রান্ত সহায়তা এবং শিশু ও কিশোরদের খাবার খাওয়ানো সম্পর্কে পরামর্শ দান বিষয়ে মহিলা কল্যাণ কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের (ডাক্তার ও নার্স) সক্ষমতা জোরদারকরণ।
নির্ধারিত পোশাক কারখানাগুলোতে মায়ের দুধ খাওয়ানোয় যে সহায়তা প্রদান করা হয় এবং অভ্যাস প্রচলিত আছে সেই অবস্থা খতিয়ে দেখতে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগে এক পর্যায়ে কর্মসূচী মূল্যায়নের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে ২০১৪ অনুসারে, দেশে ০ থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি দুজনের মধ্যে একজনকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে উন্নতি সাধন প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে, ছয় মাসের কম বয়সী সব শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
কার্যক্রম সর্ম্পকে ডিবিএল-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেকটর এমএ কাদের বলেন, বেসরকারী খাত তাদের কর্মীদের জন্য কিভাবে অধিকারভিওিক এবং শিশুকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ দেওয়া হবে কার্যক্রমে। এর মাধ্যমে এই প্রকল্প প্রমাণ করবে শিশু ও শ্রমিকদের অধিকার এবং মঙ্গল সব শিশুর জন্যই কার্যকরভাবে সমন্বিত করা যেতে পারে। এতে সবার জন্য লাভজনক অবস্থার সৃষ্টি হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বিগবেদার বলেন, শিশুরা হলো সমাজ ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। শিশুদের জন্য বিনিয়োগের ফলে অর্জিত সুফল অন্য যে কোন খাতে বিনিয়োগে অর্জিত লাভের চেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান শিশু এবং মায়েদের জন্যে সবচেয়ে সঠিক কাজ। বুকের দুধ পান করানো হলে শিশুমৃত্যু, শৈশবকালীন অসুস্থতা এবং ছোঁয়াচে নয় এমন রোগ প্রতিরোধ করে। শুধু তাই নয়, এটা মস্তিষ্কের গঠন এবং মাতৃস্বাস্থ্য রক্ষায়ও সহায়তা করে। এর অর্থনৈতিক যুক্তিও বেশ ভাল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।