কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের সীমান্ত ভাঁসার চর (মাইজবাড়ী) চরে একটি সশস্ত্র ডাকাত দল শনিবার দিবাগত রাতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা বাড়িঘর ভাংচুরসহ গ্রামবাসীর উপর হামলা ও গুলি করে। এসময় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে একটি নৌকাযোগে একদল ডাকাত গ্রামে প্রবেশ করে। ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তাদের ভীতসন্ত্রস্ত্র করে তোলে। এসময় গ্রামের আব্দুল খলিল (৪০), আক্কু (২৭) ও আজিবর (৪৭)সহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ২০/২৫ জনের ডাকাত দলটি বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়ির লোকজনকে বন্দুক, ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা দেখিয়ে জিম্মি করে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এরপর ডাকাত দলটি শাহজামাল, নজরুল, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম, ইউনুছ ও সাদ্দামের ২০টি গরু লুট করে নৌকা যোগে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন ও  ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে ডাকাতির ঘটনা ও গুলি ছোঁড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে পুলিশি টহল না থাকায় ডাকাতরা প্রায় সময় ডাকাতির সুযোগ পাচ্ছে এবং পালিয়েও যাচ্ছে।

চিলমারী উপজেলাধীন ঢুষমারা নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু বলেন, রাতেই কিছু সংখ্যক ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তদন্ত চলছে। ডাকাতদলটিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

রবিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের বি-সার্কেল এএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অপরদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন ডাকাতি বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই অজ্ঞাত কারণে সীমান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে পুলিশ। ফলে অপরাধীরা সহজেই বেঁচে যায় বলে প্রায় এই ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের নিরাপত্তাসহ সকল বিষয়ে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছেন।