- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- ধরলা সেতুর নীচে ধান চাষ!
ধরলা সেতুর নীচে ধান চাষ!
‘ধরলা নদীর উতাল পাতাল রে-ও কন্যা বান ডেকেছে জোড়ে, যাস না তুই ধরলা নদীর ঘাটে’। রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াই সম্রাট খ্যাত মরমী শিল্পী কছিমুদ্দিন এর সেই উতাল পাতাল প্রমত্তা ধরলা এখন কালের গর্ভে যৌবন হারিয়ে শীর্নকায় স্রোতহীন আধা মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। আগের মত মাঝিরা এখন পাল তোলা নৌকা বেয়ে উদাস কন্ঠে ভাটিয়ালী গান গেয়ে দুর দুরান্তে যায় না।
এক সময় মাঝিরা ডিঙ্গি নায়ে জাল দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে কর্ত্তি পুটি বৈরালী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন সেই মাঝি ও মাছ কোনটাই নাই। এখন ধরলা নদের বুক জুড়ে জেগে ওঠা চরে আবাদ হচ্ছে ধান, কলাসহ বিভিন্ন জাতের ফসল। নদের দু‘কুলের বয়স্ক মানুষগুলো বলছেন আগে ধরলার এ কুল ভাংতো ও কুল গড়তো আজ সেই ধরলা পানি শুন্য।
যোগাযোগ করা হলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, স্বাধীনতার পর কোন দিনই ধরলা নদে লুবকাটিং বা ড্রেজিং করা হয়নি । ফলে প্রতি বছর বন্যার পলি পরতে পরতে তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ধরলার উজানে ভারত তার ‘গজলডোবা’ নামক স্থানে বাঁধ দিয়ে এক তরফা পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করায় বছরের বেশি ভাগ সময় ধরলায় পানিই থাকে না।
কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র নুর ইসলাম নুরু বলেন,‘ধরলা শুকিয়ে যাচ্ছে ড্রেজিং করা জরুরী এ দাবী বহুবার জেলা কর্নধার মিটিংয়ে তুলেছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি।
ধরলা সেতু পয়েন্ট এলাকার বাসিন্ধা মজিবর রহমান বলেন, ৩০ বছর আগে এ সময় ধরলার পানি কানায় কানায় ভরে থাকতো। ঝাঁকে ঝাঁকে বক, পানিকৌরী, বালিহাঁস, কুজিহাঁস, ডুবুরী, পানিচোরা ইত্যাদি পাখি পয়ালে মুখরিত ছিল। এখন আর সেই সব পাখীর কলতান ও মাঝিমাল্লার উদাস কন্ঠে গানও শোনা যায় না।
কুড়িগ্রাম সলিডারিটির পরিচালক লালভাই জানান, জেগে ওঠা চরে কৃষকরা বর্তমান নানান জাতের ফসল চাষ করেন তাতে বালাই নাশক দেয়ার ফলে নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্রের মারাক্তক ক্ষতি হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।