শিক্ষার্থীকে আটকে মারধর, মাদ্রাসা ভাঙচুর
ঝালকাঠির নেছারাবাদ কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে প্রশাসনিক ভবন ও ছাত্রাবাসে হামলা ও ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
ঝালকাঠির নেছারাবাদ কামিল মাদ্রাসায় এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে তার সহপাঠীরা। এর প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবন ও ছাত্রাবাসে হামলা ও ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রাবাসে এবং শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আরবি শিক্ষক তাজুল ইসলাম দাখিল পরীক্ষার্থীদের একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই শিক্ষক মোবাইল ফোন জব্ধ করতে এসেছেন ভেবে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ সময় ওই শিক্ষকের সঙ্গে দাখিল পরীক্ষার্থী আবদুস সাকুরের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরই সাকুরকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে অন্য শিক্ষকরা এসে ওই ছাত্রকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী শিক্ষককে কটূক্তি করেছেন বলে শুনেছি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীকে মারধরের খবর পেয়ে তাঁর সহপাঠীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম তালুকদার জানান, খরব পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে মাদ্রাসার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসআই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, সম্প্রতি দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এসব কারণে ক্ষুব্ধ ছিল শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে ছাত্রকে আটকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালায়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।