নীলফামারীর ডিমলায় এক গরীব পরিবারের বসত বাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে দৃবৃত্তরা। উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামের বছির উদ্দিনের পুত্র মশিয়ার রহমান গত ৩০ জুন একই গ্রামের কেচু মামুদ ও আপিয়া খাতুনের নিকট ৩১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয় সূত্রে উক্ত জমিতে বসত বাড়ী নির্মাণ ও বাকী অংশটিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে আসছেন মশিয়ার। 

এদিকে (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় একই গ্রামের মৃত মনতাজ আলীর পুত্র সহ ৩৫/৪০ জন ভারাটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মশিয়ারের বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে। মশিয়ার তার স্ত্রী ও সন্তানদের মেরে বাড়ী থেকে বাহির করে দিয়ে বসত বাড়ীতে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট করে। পওে স্থানীয়  লোকজন ঘটনাস্থল হতে মশিয়ার সহ আহতদেও উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের মৃত ছুলু মামুদের পুত্র কেচু মামুদ ও তার স্ত্রী নীলফামারী জেলা প্রশাসকের নিকট হতে ২৭ অক্টোবর ১৯৮৯ সাল হইতে ১শ বছরের জন্য ১ একর ৫৩ শতাংশ জমি বন্দেবস্ত নেন। উক্ত জমির মধ্যে মোট ৩৬ শতাংশ জমি মশিয়ার রহমানের নিকট বিক্রয় করেন। মশিয়ারের নিকট উক্ত জমি বিক্রয় করার পর হইতে মোতালেবের সাথে তার শত্রুতা শুরু হয়। সেই সুযোগে গত ৩ ডিসেম্বর মোতালেব সহ তার লোকজন মশিয়ারের বসতভিটা জ্বালিয়ে দেয় ফসল বিনষ্ট করে। এ ব্যাপারে মশিয়ার বাদী হয়ে  মোতালেবসহ ৩৪ জন কে আসামী করে ডিমলা থানার মামলা নং-০৩/১৯৪ দায়ের করেন। ডিমলা থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।