লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ-বিএনপি-জাপার দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত
লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি পৌরসভার মধ্যে ৩টি পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার সকল দলের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর ও রামগতি পৌরসভায়ও দলীয় ও পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কষছে নানা হিসাব নিকাশ।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভায় বিএনপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও বিভিন্ন অভিযোগে বহিস্কার করা এবং লক্ষ্মীপুরের সবক’টি উপজেলায় হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীরা রয়েছে অনেকটা আতংঙ্কে। প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক কম। মেয়র পদে প্রার্থী থাকলেও প্রায় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা আরো কম।
একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে উভয় দলে জটিলতা থাকলেও জেলা ও কেন্দ্রীয়ভাবে একাধিক বৈঠক শেষে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে দলের সিনিয়র নেতাদের। প্রার্থী মনোয়নে উভয় দলেই দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব । সৎ ও যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নে তৎপর ছিলো হাই কমান্ড।
আর দলীয় সমর্থন পেয়ে প্রার্থীরাও উৎসবমুখর পরিবেশে সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারের কাছে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে রিটানিং অফিসারের কার্যালয় ছিল উৎসব মুখর ভীড়। তিনটি পৌরসভা মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রায়পুরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইছমাইল হোসেন খোকন, রামগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী ও রামগতি পৌরসভায় মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়া বিএনপির মেয়র পদে রায়পুর পৌরসভা থেকে প্রার্থী এবিএম জিলানী, রামগতি পৌরসভায় শাহেদ আলী পটু, রামগঞ্জ থেকে হাজী রোমান হোসেন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রামগঞ্জ মেয়র পদে ৬জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫জন ও পুরুষ ৭৭জন। রায়পুর পৌরসভা মেয়র পদে ৬জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ৭জন ও পুরুষ ৪৩জন। একইভাবে রামগতি পৌরসভা মেয়র পদে ৩জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০জন ও পুরুষ ৩৫জন মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
অপরদিকে রামগতি পৌরসভা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ উদ্দিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার রাতে ঢাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পাটিতে যোগ দেন। এছাড়া রামগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ স্বতন্ত্রের আড়ালে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে রামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে বেলাল হোসেনকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা নজরুল ইসলাম লিটন রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এনিয়ে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সহেল সামাদ জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ন করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।