ফুলবাড়ীর শিবমন্দিরটি ধ্বংসের মুখে
দীর্ঘদিন যত্ন ও সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের মুখে পরেছে ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ী শিবমন্দিরটি। উপজেলার থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তে নাওডাঙ্গা পরগণার জমিদার শ্রীযুক্ত বাবু প্রমদারঞ্জন বক্সী এটি ১৯০৬সালে নির্মাণ করেন।
শিব মন্দিরের গম্বুজটি থাকলেও দরজা জানালা নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়ালে আস্তর খসে পরে মন্দিরের দেয়ালে জন্মেছে পরগাছা। মন্দিরের উচ্চতা ৩০ ফুট ব্যাস ২০ ফুট এবং ভেতরের ব্যাস ১২ ফুট। জমিদার আমলে শিবমন্দিরে পূজা পর্বন হত জাকজমক ভাবে। জমিদার বাড়ীর পাশে দুটি বড়দিগীর (পুকুর) পাশে শিবমন্দিটি। জমিদার শাসনামলে একটি দিগী ছিল শিবমন্দিরের অন্যটি দূর্গা ও বিষ্ণুমন্দিরের নামে উৎসর্গ। এখন দিগীদুটি আর মন্দিরের দখলে নেই। একটি চক্র দখল করে নিয়েছে। আর মন্দিরটি যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। স্থানীয় হিন্দুরা চাঁদা তুলে কোন রকমে শিব মন্দিরে পূজা ও বিষ্ণুমন্দিরে প্রতি বছর পূজা অর্চনা করেন ।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগ এখানকার একটি প্রভাব শালি মহল জমিদারবাড়ীসহ দিঘীদুটির পাশে বাজার লাগিয়ে তিন একর জমি দখলে নিয়েছে । ফলে জমিদার বাড়ীর ঐতিহ্য বিলুপ্তি ও ধ্বংসের পথে। তবে শিব মন্দিরটি রক্ষার স্বার্থে স্থানীয় লোকজন একটি পরিচালনার কমিটি গঠন করেছে।
স্থানীয়ারা জানান, এলাকার কেবাত মাস্টারের দখলে ছিল ৮-৯ বছর। এখন নাওডাঙ্গা স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় নিলাম ডাকে নিয়ে ভোগ করেছে । সম্পত্তিটি শক্রসম্পত্তি হিসাবে সরকার ঘোষণা করেছে। দিঘী ও শিব মন্দির মিলে দুই একর জমি প্রভাবশালীরা ভোগ দখল করছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ জবর দখল করার কথা অস্বীকার করেন এবং আইন মেনেই সব করা হচ্ছে বলে জানান। মন্দির কমিটির সভাপতি শিবেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও সাধারণ সস্পাদক সুশীলচন্দ্র বর্মন, শিবমন্দির সংস্কার ও দিঘীসহ সব বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে সরকার সচেষ্ট হয়ে এলাকার ঐতিহ্য রক্ষা করার দাবী জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।