মুদ্রাপাচারে জড়িত বিমানবন্দরের লোকজন
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি জাল ভারতীয় রুপিসহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও মানবপাচারকারী চক্রের ছয়জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিক।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ সব তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন-আব্দুল্লাহ সেলিম (৪২), জাহাঙ্গীর (৪৫), মামুনর রশিদ (৪৬), আব্দুল মালেক (৫৫), কামরুল ইসলাম ওরফে হৃদয় খান (২৮) ও আবু সুফিয়ান (৪৮)। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ সেলিম পাকিস্তানি নাগরিক।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ বলেন, জাল রুপিগুলো পাকিস্তানে প্রোডাকশন হয়। রুপিগুলো খুব সুক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়। যা জাল হিসেবে কেউ যেন শনাক্ত করতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, এদের কাছ থেকে ৭০ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, ৯ হাজার ১২৫ ডলার, ২১টি পাকিস্তানি জাল পাসপোর্ট, আটটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১১০ সৌদি রিয়াল, মানবপাচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন দূতাবাসের জাল সিল তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিমানবন্দরের চত্বরে বাবুস সালাম মসজিদের পাশে আল আমিন রেস্তোরাঁর সামনে থেকে কামরুল ইসলাম সুফিয়ান ও মামুনুর রশীদকে রাতে আটক করা হয়। এদের কাছ থেকে ৩০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, ৬ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা, ৪৩ হাজার ১৯০ পাকিস্তানি রুপি, ১৩ হাজার ৬২৭ দিরহাম,৭টি এয়ার পোর্ট ভিজিটর্স পাস,৫টি মোবাইল,৪টি বিদেশি সিম কার্ড, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ট্রাভেল পারমিট ফরম আটক করা হয়।
এই পাচারকারী চক্রের মূল হোতা আবদুল্লাহ সেলিম। তিনি ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানে চলে যান। তারপরে মানবপাচার ও জাল মুদ্রা-পাচারকাজে জড়িয়ে পড়েন বলেও তিনি জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।