ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
বরগুনায় একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীকে পিটানোর অভিযোগে জহিরুল ইসলাম বাদল নামে এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাদল ওই কোচিংয়ের পরিচালক এবং বরগুনা সদর উপজেলার রোডপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
বেত্রাঘাতে আহত ক্যালিক্স একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান সালিহাকে (৯) বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শহরের কলেজ রোডে পরিচালিত কোচিং সেন্টারটিও বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বাদল আত্ম গোপনে রয়েছে। তবে তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
সালিহার বাবা মো. জামাল শিকদার বলেন, 'আমার মেয়েকে সামান্য অপরাধের জন্য তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৩৫-৪০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জোহানুল ইসলাম বলেন, 'শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত্রাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।'
অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাদল নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, 'আমি খুবই অন্যায় করে ফেলেছি, এ জন্য আমি ভীষণ লজ্জিত।'
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ বলেন, 'এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম বাদলকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সকল বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী সালিহাকে দেখতে যান। এ সময় তিনি সমকালকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিচালিত কোচিং সেন্টারটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উক্ত কোচিং সেন্টারটি সম্প্রতি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলের লবিং এবং তদবিরে পুনরায় চালু করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।